Also read in

জয় প্রেমেরই : এনআরসি-ছুট দিলওয়ার হোসেনের সঙ্গেই ভালোবাসার ঘর বাঁধতে চায় শাবানা

এনআরসি’র চূড়ান্ত খসড়ায় বরের নাম না থাকার জন্য মেয়ের বিয়ে ভেঙ্গে দিতে চাইলেন পাত্রীর বাবা। অগত্যা পাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন পাত্র দিলওয়ার হোসেন। এই নাটকীয় ঘটনাটি বুধবার নতুন মোড় নিল, যখন পাত্রী শাবানা বরভূইয়া সদর থানায় হাজির হন। পুলিশ তাকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহ্নবী দেবীর আদালতে উঠালে শাবানা জানান যে দিলওয়ার হোসেন তাকে অপহরণ করেননি‌। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, দিলওয়ার হোসেন শাবানাকে অপহরণ করেছেন বলে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন পাত্রী শাবানার বাবা।

কোর্টের নির্দেশ অনুসারে, শাবানা নিজে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি কোথায় যেতে চান। যেখানে যেতে চান তাকে যেতে দিতে ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশকে নির্দেশ দেন। শাবানার সামনে দুটি রাস্তা খোলা ছিল, বাবার কাছে ফিরে যাওয়া কিংবা স্বামীর সঙ্গে ঘর করা। শাবানা পুলিশকে জানান যে তিনি দিলওয়ার হোসেনের সঙ্গে যেতে ইচ্ছুক।শাবানার ইচ্ছের মর্যাদা দিয়ে দিলওয়ারের মামা তাকে সঙ্গে করে দিলোয়ারের বাড়ি নিয়ে যান।

ঘটনাটি শিলচর শহরতলি বেরেঙ্গা পঞ্চম খন্ডের নয়াগ্রাম এলাকার। প্রতিবেশি দিলওয়ার হোসেন লস্করের সঙ্গে বিয়ে সাব্যস্ত করেছিলেন পাত্রীর বাবা কুতুবুদ্দিন লস্কর। বিয়ে দেওয়ার আগে নিজের মেয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে পাত্রীর বাবা পাত্রপক্ষের কাছে জানতে চান যে বরের এন আর সি’তে নাম রয়েছে কিনা। তাতে রেগে যান পাত্রপক্ষ। আর এতেই সন্দেহ হয় বাবার। তিনি খোঁজাখুঁজির পর জানতে পারেন যে বরের এনআরসি’র চূড়ান্ত খসড়া তালিকায় নাম নেই। সঙ্গে সঙ্গে দিলওয়ার হোসেনের সঙ্গে নিজের মেয়ের বিয়ে দিতে বেঁকে বসেন পাত্রীর বাবা। কিন্তু তাতেও বেশি লাভ হয়নি। কারণ বাধ্য হয়ে দিলওয়ার হোসেন পাত্রী শাবানাকে নিয়ে এরপর পালিয়ে যান।

পরে পাত্রীর বাবা তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে বলে দিলওয়ার হোসেন ও তার দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। বরের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে এটি মোটেই অপহরণ নয়, বরং ভালোবাসার জয়। নিজেদের ভালোবাসার তাগিদে তারা পালিয়ে যায় বলে পাত্র পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়।
এই পরিস্থিতিতে বুধবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে শাবানার বয়ান ঘটনায় নতুনভাবে আলোকপাত করতে সমর্থ হয়। এরপর শাবানার বাবা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তা দেখার বিষয়।

Comments are closed.