Also read in

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এনআরসির কাজ, খসড়া প্রকাশের দিন পরিবর্তনের দাবি প্রতীক হাজেলার

বরাকের তিন জেলা সহ রাজ্যের মোট ছয়টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এবং এতে বহুলাংশে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এনআরসি প্রক্রিয়াও। কাছাড়ে প্রায় ২২টি এনআরসি সেবাকেন্দ্র বন্যার কবলে এসেছে এবং এছাড়াও জেলার বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য প্রক্রিয়ার কাজ প্রায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় বরাকের জেলাগুলোতে ৩০ জুনের আগে চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শেষ হবে কি না এনিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন স্বয়ং প্রতীক হাজেলা।

সোমবার গুয়াহাটি থেকে ফোনে তাঁর সন্দেহের কথা জানান এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় কাজ শেষ না হলে সরকার-কর্তৃপক্ষের কাছে খসড়া প্রকাশের দিনটি ৩০ জুন থেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদন জানানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, বন্যার মতো ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আমাদের কাজগুলো অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে। বরাকের তিন জেলায় কাজটি সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ খসড়া তৈরি হবেনা। এমন অবস্থায় এটি প্রকাশের চূড়ান্ত দিন ৩০ জুন থেকে সরিয়ে অন্তত কয়েক দিন এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। সরকার- কর্তৃপক্ষ এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের কাছে এব্যাপারে আবেদন করা হবে। তবে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরেই আমরা বুঝতে পারব যে ঠিক কতটা পিছিয়ে রয়েছে এনআরসি প্রক্রিয়ার কাজ।

এদিকে বন্যা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়ে আসছে বলে জানান কাছাড়ের জেলাশাসক ডাঃ এস লক্ষ্মণন। তিনি সোমবার সন্ধ্যায় বলেন, বরাক সহ সবকটি নদীর জল বিপদসীমার নিচে চলে এসেছে। তবে এখনও ১৩০টির মতো গ্রাম জলের তলায় রয়েছে। প্রায় ২০০টির বেশি সড়ক সহ কিছু এলাকায় ট্রেন লাইনও জলের তলায়। এসব এনআরসির কাজে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, এনআরসির কাজগুলো সরাসরি সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশেই হয়ে থাকে এবং আদালতের তরফে ৩০ জুনেই চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সরকার- কর্তৃপক্ষকে। এমন অবস্থায় জাস্টিস রঞ্জন গগৈ বরাকের বন্যা পরবর্তী এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে কি বিধান দেবেন এটাই অনেকের কাছে চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। অনেকেই ভাবছেন এবার কি তাহলে বন্যার জন্য আরও কিছু ভারতীয়ের নাম খসড়া থেকে বাদ যাবে?

Comments are closed.