
শহীদদের সরকারি স্বীকৃতি :বরাকে গড়ে তোলা হবে ভাষা শহীদ মেমোরিয়াল
অবশেষে, সরকারিভাবে বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের স্বীকৃতি দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। বাজেটে উল্লেখিত হয়েছে, বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে ভাষা শহীদ মেমোরিয়াল গড়ে তোলা হবে বরাক উপত্যকায়।
বরাক উপত্যকার ভাষা শহীদদের চিরদিনই উপেক্ষা করে আসা হয়েছে, সরকারি স্বীকৃতি দিতে চিরদিনই কার্পণ্য। গত বৎসর বিধানসভা অধিবেশনে করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ প্রসঙ্গটি বিধানসভায় উত্থাপন করেছিলেন, কিন্তু এতে মন্ত্রী হিমন্ত তার অজ্ঞতায় প্রকাশ করেছিলেন। এবারের বাজেটে বিষয়টা সরকারি স্বীকৃতি পেল, ধরে নেওয়া যায়।
ভাষা শহীদ স্টেশন দাবি কমিটির মুখ্য কর্মকর্তা রাজিব কর এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধিকে জানালেন “এমনটা যদি হয়, তাহলে বলতেই হবে এটা তো অসম্ভব একটা ভালো কথা। কবীন্দ্র পুরকায়স্থ মহাশয় উনার সময়ে সংসদে ১৪ বার বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন। সর্বানন্দ সোনোয়ালের ১৭ বার বরাক উপত্যকা ভ্রমণের সময় ১৪ বার উনার সাথে দেখা করে বিষয়টি আমরা উত্থাপন করেছিলাম,। প্রত্যেকবারই উনি আমাদের বলেছিলেন উনি এই স্বীকৃতির পক্ষে রয়েছেন। নির্বাচনের মুহূর্তে দাঁড়িয়ে এটা যদি হয়ে যায় তাহলে এটা একটা আশীর্বাদের জায়গা”।
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে আমাদের জানালেন, ” আমাদের সৌভাগ্য যে সরকারে বিজেপি রয়েছে, তাই এটা সম্ভব হয়েছে; সত্যি কারের বিচার করেছে সরকার। এটা খুবই আনন্দের কথা।”
বাজেট ভাষণে অর্থমন্ত্রী জানান, মহান সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত একটি সাংস্কৃতিক গবেষণা কেন্দ্রও গড়ে তোলা হবে বরাক উপত্যকায়।
এদিকে, প্রশাসনিক সুবিধার্থে ডিমা হাসাওকে দুটো জেলায় ভাগ করার কথা উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
Comments are closed.