নববর্ষের দিনে কালবৈশাখী ঝড়ের দাপট উপত্যকা জুড়ে, মুখ্যমন্ত্রীর হাইলাকান্দি এবং নিলামবাজার সভা বাতিল
সবাই যখন বর্ষবরণের সকালে ভালো মন্দ কিনতে বাজারে রওয়ানা দিয়েছেন বা বাজার করছেন তখনই রাতের আঁধার নেমে এলো উপত্যকা জুড়ে। মাত্র কয়েক মিনিটের অপেক্ষা, তার পরই প্রচণ্ড কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেল বরাক উপত্যকার বুক চিরে। সকাল নটা নাগাদের এই ঘূর্ণিঝড় চলে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে। এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে ভূপাতিত হয়েছে অসংখ্য গাছ, ঘরবাড়ি ও কয়েকটা ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, এই প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি তুফানে মুখ্যমন্ত্রীর বরাক উপত্যকার সফরের দুটো সভাস্থল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে হাইলাকান্দির বার্নারপুর চা বাগান ও করিমগঞ্জের নিলামবাজার সভা বাতিল ঘোষণা করেছেন উদ্যোক্তারা।
এদিকে, আকাশের বিদ্যুৎ চমকানোর সাথে সাথে আমাদের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানি এপিডিসিএলের বিদ্যুৎ সরবরাহও সাথে সাথেই চলে যায়। শিলচরে ঘন্টা দুয়েক পরে বেশিরভাগ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হলেও করিমগঞ্জের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন ঘটেছে।
হাইলাকান্দি থেকেও প্রচুর গাছপালা ভেঙে পড়া এবং ঘরবাড়ি ভূপতিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্পূর্ণভাবে বিঘ্নিত রয়েছে। এপিডিসিএলের এসডিই এক বার্তায় জানিয়েছেন, অনেক গুলো ইলেকট্রিকের খুঁটি উপড়ে পড়েছে। তাছাড়া ইলেকট্রিক রেল লাইনের ওপর গাছ, ভেঙে পড়ায় ৩৩ কেভি, ১১কেভি এবং এলটি লাইন গুলোতে ব্যাপক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। বিভাগীয় কর্মীরা বিদ্যুৎ ব্যবস্থা পুনর্বহালের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
Comments are closed.