কাঁঠালরোডে কর্মরত সংবাদকর্মীর উপর প্রাণঘাতী হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, ঘটনায় গ্রেফতার তিন দুষ্কৃতি
শিলচর শহর সংলগ্ন কাঁঠালরোডে অজ্ঞাত পরিচয় পনেরো-কুড়িজন ব্যক্তির দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন প্রান্তজ্যোতি দৈনিকের কর্মী সুমন সিনহা। মারধরের পাশাপাশি অশ্রাব্য গালিগালাজ করে তার গাড়ি ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। তার চিকিৎসার পাশাপাশি শিলচর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এর উপর ভিত্তি করে রাতেই তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ঘটনায় সংবাদ মহলে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। শিলচর প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্য সহ স্থানীয় সংবাদ কর্মীরা ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।
সুমন সিনহার বয়ান অনুযায়ী, তিনি বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ স্থানীয় এক সংবাদকর্মীকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে কার্যালয়ে ফিরছিলেন। কাঁঠাল রোড এলাকায় একদল ব্যক্তি তার গাড়ি আটক করে। গাড়ি থেকে নেমে সুমন তাদের বুঝিয়ে বলেন, তিনি সংবাদপত্র হাউসের একজন কর্মী এবং তার কার্ডও দেখান। তবে দুষ্কৃতীরা তার কথা মানেনি, তার কার্ড ছিড়ে ফেলে দেয় এবং তার নাকে, মুখে, পিঠে প্রচণ্ড আঘাত করে। একসময় মারপিট সহ্য করতে না পেরে তিনি গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন তারা গাড়ির কাচ ভেঙে দেয়।
ঘটনায় শিলচর সদর থানায় এজাহার দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্ত হবে এবং আসল দোষীদের আটক করা হবে।
সংবাদ মহলের তরফ থেকে ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলা হয়েছে, এই দুঃসময়ে সাংবাদিকরা প্রায় ২৪ ঘন্টা কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য আবেদন জানিয়েছেন। তবে জরুরী পরিষেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা এই দুঃসময়ে প্রচণ্ড পরিশ্রম করছেন। জেলায় বিভিন্ন স্থানে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ সরকারের সাবধান বাণী উপেক্ষা করেও জমায়েত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার রাতে নিয়ম ভেঙে পনেরো কুড়ি জন একসঙ্গে জমায়েত হন এবং সাংবাদিককে আক্রমণ করেন। এধরনের ঘটনা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শহরের প্রত্যেক স্তরের মানুষ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। অনেকেই দোষীদের শাস্তি দাবি করেছেন।
Comments are closed.