
প্লাজমা থেরাপিতে কাজ হচ্ছে, গ্রহণ করে ২৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৪ জন
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্লাজমা থেরাপি এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে । এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরলেন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ‘প্লাজমা থেরাপি’র ডাক্তার ডাঃ ভাস্কর দেবনাথ।
ইতিমধ্যে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯৪ জন রোগীকে প্লাজমা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২৭ জন, চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৫৪ জন। তবে দুঃখজনকভাবে তেরোজন প্লাজমা নেওয়ার পরেও সেরে ওঠেননি।
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ দুপুর পর্যন্ত ৬২ জন সেরে ওঠা রোগী প্লাজমা দান করেছেন। এর মধ্যে শিলচর মেডিকেল কলেজের ডাক্তার রয়েছেন ১১ জন এবং ল্যাবরেটরী টেকনিশিয়ান একজন। সামরিক বাহিনী এবং অর্ধ সামরিক বাহিনীর লোকেরা ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্লাজমা দান করছেন। সাধারণত, একজন দাতার প্লাজমা দিয়ে দুজন রোগীর চিকিৎসা হয়ে থাকে। অর্থাৎ একজন দাতা দুজন সংকটাপন্ন কোভিড রোগীর জীবন বাঁচাতে পারেন। “প্রাথমিক অবস্থায় আমাদের এখানে প্লাজমা না থাকায় গুয়াহাটি থেকে ১২ ইউনিট এবং তেজপুর থেকে ৫ ইউনিট আনানো হয়েছিল।”
ডক্টর দেবনাথ আরো জানান, আগস্ট মাসের ৪ তারিখ প্লাজমার মেশিন বসানো হলে ও কাজ শুরু হয় ৬ আগস্ট থেকে। তবে দেরিতে শুরু হলেও প্লাজমা দানের ব্যাপারে গুয়াহাটির পরেই এখন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্থান। ইতিমধ্যে এক বেসরকারি হাসপাতাল (গ্রীন হিলস হাসপাতাল) কে ছয় ইউনিট প্লাজমা শিলচর মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনায় দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে শিলচর মেডিকেল কলেজে মাত্র ২১ ইউনিট প্লাজমা রয়েছে । তবে আশার কথা, সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী তথা বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, এনজিও প্লাজমা দানের ব্যাপারে জনগণকে উৎসাহিত করছে যার ফলে সচেতনতাও বাড়ছে । “যারা সুস্থ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তাদের কাছ থেকে আমরা সম্মতিপত্র রাখি, যাতে সঠিক সময়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে প্লাজমা গ্রহণ করা যেতে পারে” জানান ডক্টর দেবনাথ।
Comments are closed.