
জাপানি এনকেফেলাইটিস: ডাক্তার, নার্সদের ছুটি বাতিল; জরুরী ছুটি নিতেও জেলা উপায়ুক্তের অনুমোদন লাগবে
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এক সাংবাদিক সম্মেলনে আজ জাপানি এনকেফেলাইটিস (জেই) মোকাবিলার জন্য কয়েকটি পদক্ষেপের ঘোষণা করেছেন। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালে ইতিমধ্যেই ৪৯ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এবং আরও ১৯০ জন এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
জানানো হয় যে জ্বরে আক্রান্ত হলে গ্রাম থেকে জেলাগুলোর হাসপাতালে তথা মেডিক্যাল কলেজে দ্রুত পৌঁছানোর জন্য ১০৮ মৃত্যুঞ্জয় এম্বুলেন্সের ব্যবহার করা হবে বলে স্থির করা হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৯ সালে জুন মাসে মোট ৩৬২২টি জ্বরের ঘটনায় স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, যেখানে সরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীদের স্থানান্তরিত করার জন্য মৃত্যুঞ্জয় এম্বুলেন্স নেই সেখানে সরকার ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যবস্থার উদ্দেশ্যে এক হাজার টাকার খরচ বহন করবে।
তিনি আরো ঘোষণা করেন যে সব ডাক্তার, নার্স, সার্ভিলেন্স কর্মী সহ প্যারামেডিকেল কর্মীদের ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান,” জরুরি ছুটিগুলো কেবল জেলা প্রশাসকের পূর্ব অনুমোদনের মাধ্যমেই দেওয়া হবে। ডিউটি আওয়ার পার হয়ে যাওয়ার পরও যে এলাকায় পোস্টিং এ রয়েছেন সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্মীর অননুমোদিত অনুপস্থিতিতে তাকে গুরুতরভাবে দোষী সাব্যস্ত করা হবে এবং এক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করা হবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে স্বাস্থ্য বিভাগের এডিসি,জয়েন্ট ডিরেক্টর, ডিস্ট্রিক্ট ম্যালেরিয়া অফিসারদের প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে দুটি হাসপাতাল পরিদর্শনের পাশাপাশি নিয়ম করে প্রভাবিত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি সামলানোর জন্য রাজ্য এক্ষেত্রে মেডিক্যাল সরঞ্জাম সহ প্রস্তুত রয়েছে। ‘ইএলআইএসএ কিটস্’ সব জেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও মেডিক্যাল কলেজে পাওয়া যাচ্ছে। সর্বমোট ১৬৫০ জনের ইএলআইএসএ টেস্ট করা হয়েছে, তার মধ্যে ১৫৯ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
তিনি আরো বলেন, “যদিও আমরা স্বীকার করি যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে আই সি ইউ সুবিধা সীমিত। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য আসামের যে কোন ব্যক্তিগত হাসপাতালের আইসিইউতে ‘এইএস’ বা ‘জেই’ রোগী ভর্তি করা হয় তবে তার চিকিৎসার জন্য রোগী প্রতি ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা ভাতা ব্যক্তিগত হাসপাতালগুলোতে সরাসরি প্রদান করা হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, এক্ষেত্রে ব্যক্তিগত হাসপাতালগুলোর সুবিধা উপভোগ করার জন্য পেশেন্টের এটেনডেন্টকে জাপানি এনকেফেলাইটিস সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে কিংবা স্বাস্থ্য পরিষেবার জয়েন্ট ডিরেক্টরকে জানাতে হবে। জেলার জয়েন্ট ডিরেক্টর আইসিইউ’তে রোগীকে যাচাই করে অবিলম্বে ভাতা ব্যক্তিগত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করবেন।
Comments are closed.