Also read in

ঢাকে কাঠি পড়ল পঞ্চায়েত নির্বাচনের, এপ্রিল-মে মাসে পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্যে।

আসামে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন বিহুর পরে, এপ্রিলের শেষের দিকে এবং মে মাসের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে সংবাদ মাধ্যমে বিবৃতিতে দিয়েছেন আসাম রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হরেন্দ্রনাথ বোরা।

রাজ্য নির্বাচন কমিশন সরকারকে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিল বোর্ড পর্রীক্ষার কথা মাথায় রেখে। কিন্তু চলমান এনআরসি প্রক্রিয়ার জন্য নির্বাচন বিলম্বিত হয়।

পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাঁও পঞ্চায়েত এলাকার জনগণ ‘সদস্য’ হিসেবে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত (এপি), গাঁও পঞ্চায়েত (জিপি) এবং জেলা পরিষদ প্রার্থী (জেডপিসি) নির্বাচিত করেন।

বর্তমান পঞ্চায়েতের মেয়াদ ২০১৮ সালের জুলাই মাসে শেষ হবে, তবে ইতিমধ্যেই অনেক পঞ্চায়েত এলাকায় মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে এবং তাই নির্বাচন পরিচালনা করাটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন বোরা। তিনি বলেন, “নির্বাচনের জন্য কমিশন প্রস্তুত, আমরা সব জেলায় ব্যালট এবং মনোনয়ন পত্র পাঠিয়ে দিয়েছি এবং মে মাসের মধ্যে আমরা নির্বাচনী প্রক্রিয়া শেষ করতে সক্ষম হব।”

অবসরপ্রাপ্ত আই.এ.এস এছাড়াও উল্লেখ করেন যে তিনটি ধাপে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তার জন্য ১৪৫ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন করা হয়েছে।

২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের পর বিজেপি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপকভাবে বিজয়ী হবার জন্য মুখিয়ে রয়েছে, তবে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের পাশাপাশি ইউনাইটেড প্রগ্রেসিভ এলায়েন্স আসন্ন নির্বাচনে নিজেদেরকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। নির্বাচনে এনআরসি প্রসঙ্গ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার যে হবে তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই।

সরকার রাজ্য বাজেটে কয়েকটি গ্রামীন উন্নয়ন প্রকল্প ঘোষণা করেছে এবং নির্বাচিত পঞ্চায়েত এই প্রকল্পগুলো তৃণমূল স্তরে রূপায়ণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তাই সব মিলিয়ে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন বেশ কিছু মনোযোগ আকর্ষণ করবে। মোদী ও বিজেপির ঢেউ জয়ী হবে রাজত্ব করার জন্যে, না কংগ্রেস এবং তার মিত্ররা আবার প্রত্যাবর্তন করতে সক্ষম হবে, জুনে সব কিছুর উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে…

Comments are closed.