
কাগজ কল পুনরুজ্জীবন তথা বকেয়া বেতনের দাবিতে বারো ঘন্টার বনধ ২২ নভেম্বর
কাছাড় কাগজ কলের কর্মচারীদের শেষ পর্যন্ত গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আন্দোলনের চূড়ান্তটাই নিতে হলো। আসামের কাছাড় পেপার মিল ও নগাঁও পেপার মিলের কর্মচারি ইউনিয়নের যৌথ সংস্থা এইচপিসি পেপার মিলস রিভাইভেল অ্যাকশন কমিটি আগামী ২২ নভেম্বর বরাক উপত্যকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বারো ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে। কাগজ কল দুটি পুনরুজ্জীবিত করতে সরকারের অবহেলার প্রতিবাদে এই বন্ধ আহ্বান করা হয়েছে। আগামী ২২ নভেম্বর সকাল পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বনধ চলবে।
মঙ্গলবার শিলচরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির মুখ্য আহ্বায়ক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, গত কয়েক মাস ধরে উভয় মিলের শ্রমিকরা অকল্পনীয়ভাবে ভুগছেন। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে সম্পূর্ণ উদাসীন। কর্মচারিরা বিগত ২০-২১ মাস ধরে নিজেদের বেতন পাচ্ছেন না এবং চূড়ান্ত আর্থিক সঙ্কটে ভুগছেন, কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কোনো সদর্থক পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় সরকারের ওপরও অসন্তোষ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, মধ্যপ্রদেশের এনইপিএ মিলের পুনরুজ্জীবনের জন্য ৪৬৯ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন করতে পারে, কিন্তু আসামের নিষ্ক্রিয় দুটি কাগজ কলের পুনরুজ্জীবনের ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। তিনি অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর উপর এক হাত নিয়ে বলেন, সোনোয়াল গত বছর ১৮ নভেম্বর নমামি বরাক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেছিলেন যে কর্মচারিদের বেতনের বকেয়া সব পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে। বলা বাহুল্য, সবাইকে বোকা বানানোর জন্য সেটা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ছিল।
অন্য এক সদস্য সঞ্জীব রায় সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, বিজেপির অনেক নেতৃবৃন্দ মিল পুনরুজ্জীবন এবং কর্মচারিদের বকেয়া বেতন প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি। তিনি আরো বলেন, দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে।
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাহারুল ইসলাম, দীপক চন্দ্র নাথ ও জিয়াউল রহমান।
Comments are closed.