Also read in

কাগজ কল কর্মীদের দুঃসময় : আশ্বাসের ফানুস উড়ে গেল, চিরতরে বন্ধ হতে চলেছে এইচপিসি

কেন্দ্র সরকার হিন্দুস্তান পেপার কর্পোরেশন লিমিটেডকে দেউলিয়া ঘোষণা করতে চলেছে। এ ব্যাপারে ন্যাশনাল কোম্পানি লো ট্রাইব্যুনাল গত ১৩ জুন প্রয়োজনীয় নোটিশ জারি করেছে। সরকারি উদ্যোগের এই বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান এইচপিসিএল এর পরিচালনাধীনে রয়েছে কাছাড় পেপার মিল এবং নওগাঁর পেপার মিল। তাই এই দুটি মিলই সম্ভবত চিরতরে বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে।

‘ইন্টারিম রিজলিউশন প্রফেসনাল’ কুলদীপ বার্মা গতকাল জারি করা এক সার্বজনিক ঘোষণায় (পাবলিক এনাউন্সমেন্ট) জানিয়েছেন যে, বিভিন্ন সংস্থা বা ব্যক্তিকে তাদের পাওনাগণ্ডা সম্পর্কিত দাবি-দাওয়া আগামী ১০ জুলাই ২০১৮ তারিখের মধ্যে পেশ করতে হবে। দাবি-দাওয়ার চূড়ান্ত নিষ্পত্তির সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়েছে ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮।

এইচপিসিএল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পাওনা মিটিয়ে দিতে ব্যর্থ হওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এই ব্যবস্থায় বিভিন্ন সংস্থাগুলোকে শুধু ইলেকট্রনিক মাধ্যমে আবেদন করতে বলা হয়েছে। অন্যান্যরা লিখিতভাবে, সশরীরে হাজির হয়ে বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমেও আবেদন করতে পারবেন। এরপরে সংস্থার সম্পদ বিক্রি করে সেই পাওনা মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই অবস্থায় কাছাড় কাগজ কল এবং নগাঁও কাগজ কল দুটির পুনরুজ্জীবনের যাবতীয় সম্ভাবনা বিলীন হয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।

এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, একসময়ের লাভজনক এই মিল দুটি পরিচালনায় চূড়ান্ত ব্যর্থতার জন্য প্রায় তিন বৎসর ধরে বন্ধ অবস্থায় আছে। সেই সঙ্গে কর্মচারিদের বেতন ও বকেয়া পড়ে রয়েছে। কিছু দিন আগে কর্মচারিদের ৩ মাসের বেতন দেওয়া হয়েছিল যা তাদের পাওনার তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। কর্মীরা না খেয়ে মারা যাবার জোগাড়, বিনা চিকিৎসায় অনেকে শয্যাশায়ী হয়ে আছেন, ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হতে চলেছে‌। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীদের আশ্বাসবাণী শোনানো হয়েছিল। কিন্তু নতুন করে এধরনের উদ্যোগে সমস্ত বরাক উপত্যকা জুড়ে এক বিষাদের পরিবেশ সৃষ্টি হতে চলেছে।

Comments are closed.