Also read in

সাংসদের বাড়ির সামনে ধর্নায় কাগজকল কর্মচারীরা, "সন্ধ্যেবেলা আসুন সরকার পক্ষের সঙ্গে কথা হবে," রাজদীপ

বিধায়ক দিলীপ কুমার পালের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেছিলেন কাগজকলের কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। সেদিন বিধায়কের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তারা ধর্না প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন, কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে তাদের দাবি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কাগজ কলের কর্মীরা ঠিক করেছিলেন নির্বাচনের আগে বরাক উপত্যকার প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির বাড়ির সামনে ধর্না দেবেন। সেই অনুযায়ী শনিবার সকাল ৯ টায় রাধামাধব রোডে শিলচরের সাংসদ রাজদীপ রায়ের বাড়ির সামনে ধর্নায় বসেন তারা। প্রতিবাদকারীদের জন্য জল এবং খাবার পাঠানো হয়েছিল, সেটা তারা গ্রহণ করেননি। প্রায় তিন ঘণ্টা ধর্না চলার পর ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন সাংসদ রাজদীপ রায়। তিনি কাগজ কল কর্মীদের বলেন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় তার বাড়িতে আসতে, এর আগে তিনি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন, এরপর কাগজকল পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা নিয়ে কি করা সম্ভব, সেটা কর্মচারীদের পাশে বসে আলোচনা করবেন। এই আশ্বাস পেয়ে আপাতত ধর্না স্থগিত রেখে বাড়ি ফিরে যান কাগজকল কর্মীরা।

কাছাড় এবং নগাঁও কাগজ কলের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি, এইচপিসি পেপারমিল রিভাইবাল অ্যাকশন কমিটি এবং কাগজ কল কর্মীদের পরিবারের সদস্যরা কাগজ কল পুনরুদ্ধার এবং তাদের বকেয়া বেতনের দাবিতে লাগাতার বিভিন্ন কার্যসূচি পালন করে আসছেন। দুই কাগজ কল বন্ধ হওয়ার পর এখন পর্যন্ত ৮১ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের বিদেহী আত্মার শান্তিতে শোক মিছিল বের করা হয়েছে। শনিবার সকালে সাংসদের বাড়ির সামনে বসে তারা একটাই কথা বলেন, “অন্তত আমাদের বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিন, এভাবে দুর্দশার জীবন আর কাটানো যাচ্ছেনা। যদি আমাদের কথা মানবেন না বলে সরকার ঠিক করে নিয়েছেন, তাহলে গুলি করে হত্যা করুন।”

সাংসদ রাজদীপ রায় দুপুর বারোটা নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন এবং ধর্নায় বসা কাগজকল কর্মীদের পাশেই বসেন। তিনি বলেন, “এই সমস্যা শুধু আপনাদের একার নয়, আমি মনে করি এটা আমারও সমস্যা। আমাদের সরকার কাগজ কল পুনরুদ্ধারের সব ধরনের সম্ভাবনাগুলো খতিয়ে দেখতে চাইছে। আমি নিজেও অতীতে বিভিন্ন মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু শেষমেষ নানা সমস্যায় কথা এগোয়নি। আপনারা আজ সন্ধ্যে সাড়ে সাতটার সময় আমার বাড়িতে আসুন, আমরা একসঙ্গে বসে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। কিভাবে কাগজ কল পুনরুদ্ধার হয়, তার রাস্তা খুজে বের করব। আমি পুরোটা দিন সময় চেয়ে নিচ্ছি কেননা এর ফাঁকে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করব, তাদের জানিয়ে আপনাদের নিয়ে বৈঠকে বসব। আমার বিশ্বাস, সবাই মিলে চেষ্টা করলে উদ্দেশ্য সফল হবে।”

Comments are closed.