Also read in

"পরিমলদা দলের পক্ষে চিরাং জেলার দায়িত্বে ছিলেন", কংগ্রেসের কৌতুকের উত্তরে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গতকাল বড়ো চুক্তির ঐতিহাসিক স্বাক্ষর উদযাপন উপলক্ষে কোকরাঝাড় সফর করেন। তার ভাষণ যেখানে শুধু উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নয় বরং সারা ভারতবর্ষে সংবাদ শিরোনামে যথাযোগ্যভাবে স্থান পেয়েছে, সেখানে শিলচরে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে এক ভিন্ন ‘স্টোরি’ অন্যভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা চালানো হয়।

মধ্য রাত বারোটায় শিলচর কংগ্রেস পরিমল শুক্লবৈদ্যের একটি ফটো আপলোড করে। ওই ফটোতে দেখিয়ে লেখা মন্ত্রী শ্রী শুক্লবৈদ্য ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করছেন। শিলচর কংগ্রেসের এই পোস্টে লেখা ছিল” কোকরাঝাড়ে ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান চলাকালীন বরাক উপত্যকার একমাত্র ক্যাবিনেট মিনিস্টার হওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডায়াসে তাকে আসন দেওয়া হয়নি ( যেখানে অন্যান্যদের দেওয়া হয়েছে), সেই হেতু তিনি অনুষ্ঠানের বাইরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে তিনি ব্যস্ত ছিলেন। সরকারে তার গুরুত্ব নেই; এই উপত্যকার জন্য এটি একটি ‘কালো দিন’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কেউ কি তাকে চিনতে পারবেন? অনুমান করা যাচ্ছে?” কেবলমাত্র শিলচর কংগ্রেসই নয়, অন্যান্য আরও অনেক পেইজ এই ফটো শেয়ার করে, যা বরাক উপত্যকায় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।

উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের (নেডা) প্রধান হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বরাক বুলেটিনের সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় কংগ্রেসের এধরনের কৌতুকের স্পষ্ট জবাব দিলেন। তিনি বলেন, “আমাদের দল কংগ্রেসের মত নয়, বিজেপিতে সবাই কর্মকর্তা। পরিমলদা দলের পক্ষ থেকে চিরাং জেলার দায়িত্বে ছিলেন। আমাদের ওই জাতীয় সংস্কৃতি নেই। অমিত শাহ বুথ কর্মকর্তার সঙ্গে বসে খাবার খান।”

পরিমল শুক্লবৈদ্যও তাকে ঘিরে কংগ্রেসের বিদ্রুপ নিয়ে হাসলেন। তিনি বলেন,”যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রী একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছেন, সেখানে আমি অত্যন্ত খুশি যে সমাবেশকে সফল করে তুলতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আমি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পেরেছি। কোন একটা সময় আড়াই লক্ষেরও বেশি লোক বাইরে আটকে ছিলেন এবং আমরা কোনভাবে এর একটি বড় অংশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমর্থ হয়েছি, যাতে করে তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারেন। বিজেপিতে আমাদের অনুষ্ঠানে আমরা সবাই স্বেচ্ছাসেবক।”

Comments are closed.

error: Content is protected !!