Also read in

হাইলাকান্দিতে বালির পাহাড় ! বন মন্ত্রীর নির্দেশে তদন্তে নামলেন দুই পিসিসিএফ

শেষ পর্যন্ত হাইলাকান্দির কাটলিছড়ার বাজিমারায় বালির পাহাড় নিয়ে তদন্তে আসছেন দিশপুরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। জানা গেছে, বনমন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর নির্দেশে এগারো জুন কাটলিছড়ার বালি কান্ডের তদন্তে আসছেন দিসপুরের দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। এগার জুন সোমবার সকালে তারা কাটলিছড়ার বাজিমারায় বালির পাহাড় সরেজমিনে পরিদর্শন সহ কুকিছড়া বন সংমন্ডল পরিদর্শন করবেন।

সোমবার সকাল নয়টার সময় কাটলিছড়াতে আসছেন দিসপুর থেকে বন বিভাগের দক্ষিন অসম প্রান্তের পিসিসিএফ এন শ্রীবাস্তব এবং অতিরিক্ত পিসিসিএফ রামমোহন সিং।বন বিভাগের দুই পদাধিকারি রবিবার কাটলিছড়াতে তদন্তে আসার কথা ছিল।তবে দিসপুর থেকে আসতে বিলম্ব হওয়ায় তারা শেষ পর্যন্ত আসতে পারেন নি । রবিবার রাত শিলচর সার্কিট হাউসে কাটিয়ে সোমবার কাটলিছড়া আসবেন বলে জানা গেছে।দুই পিসিসিএফ এর বরাকে পদার্পনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উপত্যকার বন বিভাগের জেলা এবং রেঞ্জ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে ব্যাপক দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে।

কাছাড় এবং হাইলাকান্দি জেলার বন কর্মীরা বেশ সর্তকতা অবলম্বন করছেন।বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে, দিসপুর থেকে পদাধিকারিদ্বয় বন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর নির্দেশে আসছেন।বন মন্ত্রী পরিমল সিসি এফ, হাইলাকান্দি সদর এসডিও প্রদীপ টিমুং,জেলা বন আধিকারিক এন এইচ মজুমদার দ্বারা কাটাখাল নদীর বালি তদন্ত করান।এই তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে জেলাশাসক আদিল খানের টেবিলে জমা পড়লেও বন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্যর মন ভরেনি।ফলে দিসপুর থেকে বিশেষ তদন্তের জন্য কড়া ভাবে পিসিসিএফকে হাইলাকান্দির মাঠে নামিয়েছেন। ।বিভাগীয় সূত্রে আরও জানা গেছে, গত১৭ মে কাটলিছড়ার রুপাছড়া বাগানে পিএইচই বিভাগের মেগা জল সরবরাহ প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যাবার পথে বাজিমারা ঘাটে বালুর বিশাল স্তুপ দেখে চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায় মন্ত্রী পরিমলের।এই অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে হাইলাকান্দির ডিসি আদিল খান,এস পি মহনিস মিশ্র,ডিএফও এন এইচ মজুমদারকে সংগে নিয়ে বাজিমারা ঘাটে নামেন।তখন মন্ত্রী পরিমল বালু স্তুপ নিয়ে ডিসি এস পি এবং ডিএফওকে কড়া কথা বলতে ছাড়েন নি।এইভাবে এত বালি জমা করা মানে কালোবাজারি করে চড়া দামে বিক্রি করার প্রয়াস চলছে।

এমনকী মন্ত্রী পরিমল হাইলাকান্দি জুড়ে বালির ওপর তদন্ত লাগানোয় বর্তমানে বালি ক্র‍য় বিক্রয় বন্দ্ধ আছে।।পুলিশ বালি পাচারে কড়া নজর রেখেছে।উল্লেখ্য বাজিমারা ঘাটের বালি দিসপুরকে নাড়িয়ে দিয়েছে।মন্ত্রী পরিমল হাইলাকান্দি থেকে বন বিভাগের সিন্ডিকেট উগড়ে ফেলতে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছেন।জানা গেছে, হাইলাকান্দিতে আটটি বালির ইউনিট আছে।প্রত্যেক ইউনিট মহালদারের অধীনে চলছে।মহাল মালিক বন বিভাগকে নিয়মিত রাজস্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

মহালদারদের সংশ্লিষ্ট নথি পরীক্ষনের কাজ সমাপ্ত।তবে বালি মহাল কবে খুলছে তা জানা যায়নি।জানা গেছে পিসিসিএফ কুকিছড়া রেঞ্জ এবং ঘাড়মুড়া রেঞ্জও পরিদর্শন করবেন।

Comments are closed.