করিমগঞ্জের আরো একজন রোগী কোভিড পসিটিভ, করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বরাকে বেড়ে দাঁড়াল ৪
উত্তর করিমগঞ্জের সুতারকান্দী এলাকার কুরিখাল পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হাড়িখাই গ্রামের ১৯ বছরের যুবক করিমগঞ্জের দ্বিতীয় করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা টুইট করে খবরটি জানিয়েছেন। এর আগে জেলার মুফতি জামাল উদ্দিন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি এখনও সুস্থ হননি, বর্তমানে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর টুইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যুবকটির সঙ্গে দিল্লির নিজামুদ্দিন মার্কজ সম্মেলনের যোগসুত্র রয়েছে। করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালাহ জানিয়েছেন, প্রায় চার সপ্তাহ ধরে জেলার কচুয়াধাম সরকারি প্রাথমিক চিকিৎসালয়ের কোয়ারেটাইনে ছিল যুবকটি। প্রথমদিকে টেস্টগুলো তার রেজাল্ট নেগেটিপ থাকলেও শেষের দিকে পজিটিভ পাওয়া যায়। প্রথমবার পজেটিভ পাওয়ার পর তার আবার টেস্ট হয়েছে, এতেও রেজাল্ট পজিটিভ। ফলে তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজের করোনা ওয়ার্ডে পাঠানো হচ্ছে। শিলচর মেডিকেল কলেজে তার চিকিৎসা হবে। সঙ্গে জেলায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
তবে দিল্লি থেকে ফেরার প্রায় এক মাস পর সরকারি কোয়ারেন্টাইনে থাকাকালীন করোনা পজিটিভ হওয়ার ঘটনায় স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যুবকটি। ১৪ দিন মাথায় রেখে সরকারিভাবে কোয়ারেন্টাইনের পরিস্থিতি গড়ে তোলা হয়েছিল। যেটা পরবর্তীতে ২৮ দিন করে দেওয়া হয়। এবার দিল্লি থেকে ফেরার একমাসের পরেও যুবকটির মধ্যে করোনা পজিটিভ হওয়ার লক্ষণ বেরিয়েছে।
এটি করিমগঞ্জ জেলার দ্বিতীয় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা এবং বরাক উপত্যকার চতুর্থ। কাছাড় জেলার আক্রান্ত ব্যক্তি সাজিবুর রহমান সুস্থ হয়েছেন এবং হাইলাকান্দির আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। জেলায় পরপর দুটি আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা সামনে আসায় জনমনে কিছুটা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হয়তো সরকার আগামীতে করিমগঞ্জ জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করবে, এমনটাও ভাবছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বঙ্গাইগাঁও জেলাকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করেছেন। বরাক উপত্যকার তিন জেলায় আপাতত হোয়াইট জোনে রয়েছে।
নয়নম্বর টেস্টেও করোনা পজিটিভ বদরপুরের মুফতি জামাল উদ্দিন। প্রায় এক মাস ধরে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কোভিড জোনে চিকিৎসাধীন তিনি। করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি তিনি কর্কট রোগেও আক্রান্ত। তাই তার চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। তবে তার সংস্পর্শে আসা প্রত্যেক ব্যক্তি আপাতত নিরাপদ’। শিলচর মেডিকেল কলেজে তার চিকিৎসার ফলে সপ্তাহে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যকর্মী কোয়ারেন্টাইনে যাচ্ছে। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ প্রয়োজনে আরও বেশি ডাক্তারদের এই কাজে লাগাতে প্রস্তুত, এমনটাই জানিয়েছেন শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উপাধ্যক্ষ ডাঃ ভাস্কর গুপ্ত।
Comments are closed.