জেলায় ১৪৪ ধারা জারি, "আইন ভেঙে অশান্তি ছড়ালে ফল ভুগতে হবে", কড়া বার্তা জেলাশাসকের
বুধবার রাতে দ্রুতগামী গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে দুই তরুনীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিনের বেলা রাঙ্গিরখাড়ি, হাসপাতাল রোড, মেহেরপুর ইত্যাদি এলাকায় প্রতিরোধ গড়ে তোলা সহ চলে ব্যাপক ভাঙচুর। ভাংচুরের খবর ছড়িয়ে পড়ায় বিভিন্ন এলাকায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে, তাই তড়িঘড়ি করে জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছেন জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি।
জেলাশাসক এব্যাপারে জানিয়েছেন, কাছাড় জেলার সার্বজনীন স্থানে পাঁচ বা তার থেকে বেশি ব্যক্তির একসঙ্গে চলাফেরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে কেউ লাঠি, দা, তরোয়াল সহ কোন ধরনের অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চলাফেরা করতে পারবেন না। এছাড়া কোনও ব্যক্তি বা সংগঠন জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া শোভাযাত্রা করতে পারবেন না, লাউড স্পিকার, মাইক্রোফোন, সাউন্ড সিস্টেম ইত্যাদি বাজানো চলবে না।
পাশাপাশি একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা আইন হাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন এবং নিরীহ ব্যক্তিদের যানবাহন ভেঙে দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় যাদের প্রাণ গেছে তাদের জন্য আমরা মর্মাহত, তাদের পরিবারের পর্যাপ্ত অনুদান পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না হয় সেদিকে আমরা নজর রাখছি। তবে কিছু লোক ঘটনাকে সামনে রেখে শহরে অশান্ত পরিবেশ তৈরি করলেন। নিরীহ ব্যক্তিদের গাড়ি জ্বালিয়ে দিলেন, এগুলো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। তিনজন ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন এবং দোষী সাব্যস্ত হলে আরো কিছু মানুষকে গ্রেপ্তার করা হতে পারে। আমি সবাইকে এই বার্তা দিতে চাই, গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তার জন্য যারা দায়ী তাদের শাস্তি দেওয়াই হচ্ছে আসল উদ্দেশ্য। আপনারা আমাকে সাহায্য করতে পারলে এগিয়ে আসুন, শুধু শুধু অশান্তি ছড়াবেন না।
নিহত তরুনীদের পরিবারকে মুখ্যমন্ত্রী তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা করে পাইয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের তরফে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৫ জন আহত ব্যক্তির জন্য কুড়ি হাজার টাকা করে দেওয়ার জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুদানের রাশি খুব তাড়াতাড়ি পরিবারগুলোর হাতে তুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে জেলা প্রশাসন।
Comments are closed.