Also read in

আবার ক্ষমতায় এলে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব, বাদ পড়বে অনুপ্রবেশকারীরা, শিলচরে দাঁড়িয়ে বললেন অমিত

একই দিনে পরপর জাগীরোড, পাতারকান্দি এবং শিলচরে নির্বাচনী সভায় যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার পর এটাই ছিল দলের সব থেকে বড় স্টার ক্যাম্পেইন। শিলচরে প্রত্যেকেই আশা করছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব নিয়ে কিছু বলবেন। তিনি বললেন, “যদি বিজেপি আবার সরকারে ফিরে তাহলে শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। তবে কোনোভাবেই অনুপ্রবেশকারীরা নাগরিকত্ব পাবেন না।”। নাগরিকত্ব কিভাবে দেওয়া হবে, এতে কা ব্যবহার হবে কিনা, এনআরসির কি হবে, কিছুই স্পষ্ট করেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রায় বিকেল পাঁচটায় হেলিকপ্টারে শিলচর এসে পৌঁছান তিনি এরপর ইন্ডিয়া ক্লাব ময়দানে মঞ্চে ওঠেন। জেলা বিজেপির তরফে কিছু দেশাত্মবোধক গান আয়োজন করা হয়েছিল, সেটা শুরু করতে যাচ্ছিলেন শিল্পীরা, অমিত শাহ সেটা আটকে দেন এবং সোজা ভাষণ শুরু করেন। শুরুতেই চিরাচরিত স্টাইলে রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়ে রাজ্যে পরিদর্শন করতে আসেন রাহুল বাবা এবং তার বোন। এখানে চা বাগানে দাঁড়িয়ে ফটোশুট করেন এবং ফিরে যান। রাহুল গান্ধী সম্প্রতি বলেছেন বদরুদ্দিন আজমল নাকি অসমের আসল পরিচয়। আপনারাই বলুন অসমের পরিচয় কি বদরুদ্দিন আজমল? এমন লোককে আপনারা ভোট দেবেন?” এতে উপস্থিত সর্মথকরা হাসতে থাকেন।

তিনি আরো বলেন, “তারা দীর্ঘদিন ধরে অসমকে বাঙালি-অসমীয়া, উজান-নিম্ন ইত্যাদি বিভাজনে ভাগ করেছেন। তাদের সময়ে রাজ্যে উগ্রপন্থা চরমে ছিল, কাজিরাঙ্গায় পশু হত্যাকারীরা একের পর এক গন্ডার মারছিল, আর সাধারন জনজীবন আন্দোলনের ফলে বারবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছিল। আমাদের সরকার এইসব সমস্যা ধীরে ধীরে মিটিয়েছে। দুই হাজারের বেশি উগ্রপন্থী আত্মসমর্পণ করেছে। অযথা আন্দোলন বন্ধ হয়েছে, কাজিরাঙ্গা পশু হত্যাকারীদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।”

বরাক উপত্যকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রতিশ্রুতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “আমরা ইতিমধ্যে রাস্তাঘাট উন্নত করেছি, মাল্টি মডেল লজিস্টিক পার্ক বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে, এছাড়া উপত্যকায় একটি ডিফেন্স ইউনিভার্সিটি এবং পুলিশের বিশেষ নারকটিক বিভাগ বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।” কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নত করা, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদি আরো কিছু প্রতিশ্রুতি দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি শিলচরের প্রার্থী দ্বীপায়ন চক্রবর্তী হাত ধরে স্টেজে দাঁড়িয়ে প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে বলেন, “দীপায়ন বহুদিন ধরে দলের সঙ্গে জড়িত এবং তার বয়স অল্প। আজ আপনারা তাকে ভোট দিয়ে বিধায়ক বানান, অন্তত কুড়ি বছর ধরে আপনাদের সেবা করে যাবে সে।”

জমির সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে তিনি ল্যান্ড মাফিয়া শব্দ ব্যবহার করেছেন যদিও, কিন্তু মিজোরামের জমি আগ্রাসন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলেননি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর তিনি বলেছিলেন বাদপড়া প্রত্যেকেই উইপোকা। এদিন সভায় এনআরসি বা কা-য়ের নাম উল্লেখ করেননি তিনি।

Comments are closed.