'বিনোদন উদ্যানে'র শুভ শিলান্যাস আজ, প্রতিবাদে ধর্নায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ
বিতর্কের আবহে আজ বিকেল তিনটায় শিলচর গান্ধীবাগে অ্যামিউজমেন্ট পার্কের শিলান্যাস করছেন নগর উন্নয়ন মন্ত্রী পীযুষ হাজারিকা। সঙ্গে থাকবেন বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, শিলচরের সাংসদ ডাঃ রাজদীপ রায় সহ বিভিন্ন নেতা, বিধায়করা। তবে, আমন্ত্রণপত্রে শিলচরের বিধায়ক দিলীপ পালের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি, এই অনুষ্ঠানে যোগদান নিয়ে এখনো স্পষ্টীকরণও পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ‘শিলচরের ফুসফুস’ গান্ধীবাগের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে তথা সবুজ ধ্বংসের অভিযোগে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চ শহরের নাগরিকদের প্রতি গতকাল এক আবেদনে জানিয়েছে, “গান্ধীবাগে জনগণকে অন্ধকারে রেখে শিলান্যাস হতে চলেছে এক বিনোদন পার্কের(হোটেল ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স সহ)। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের আহবানে এক নাগরিক সভার আয়োজন করা হয় গত মঙ্গলবার। সেই সভায় দলমত নির্বিশেষে শহরের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকেরা অনেকেই উপস্থিত ছিলেন । সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গতকাল সম্মিলিত সাংস্কৃতিক মঞ্চের নেতৃত্বে শহরের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যখন ডিসি মহোদয়ার সঙ্গে দেখা করে উনাকে জানায় যে নাগরিকেরা কেউই গান্ধীবাগে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক তৈরির বিরোধিতা করছেন না বিরোধিতা করছেন এমিউজমেন্ট পার্ক ও সবুজায়নের নাম করে হোটেল ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্স তৈরির চেষ্টার; তখন ডিসি মহোদয়া প্রথমে বিষয়টি বিশ্বাস করতে না চাইলেও পরে উপস্থিত নাগরিকদের সামনেই ফোনে বিষয়টি যখন জানলেন তখন তিনি নিজেও হতবাক। অর্থাৎ ডিসিকে অন্ধকারে রেখেই শিলান্যাস হতে চলেছিল। তবে যেহেতু মন্ত্রীর আদেশ তাই এ ব্যাপারে ডিসি উনার অসহায়তার কথাও জানালেন। মন্ত্রীর সঙ্গে টেলিফোনে সরাসরি কথা বলেও জানা গেল সবুজায়নের কথাই উনার জানা কিন্তু মার্কেট কমপ্লেক্স- এর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন নাএমনকি এ বিষয়ে স্থানীয় বিধায়ককেও অন্ধকারে রাখা হয়েছে, নিমন্ত্রিতদের তালিকায় উনার নাম নেই! তার মানে গোটা বিষয়টির পেছনেই একটা বিশাল ষড়যন্ত্র রয়েছে।
তাই সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানের তীব্র বিরোধিতা করা।”
শহরের নাগরিকদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন, “আসুন আমরা সবাই আগামীকাল দুপুর দুই টায় গান্ধীবাগের সামনে জমায়েত হয়ে প্রতিবাদে সরব হই। শহরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাই।”
এদিকে সবুজ ধ্বংসের বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছে কংগ্রেস দল ও। গতকাল এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, পৌরসভায় ২৮ জন পৌর কমিশনার থাকলেও পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর এবং তার দুই ঘনিষ্ঠ পুর কমিশনার সবকিছু ঠিকঠাক করছেন, শিল্পী পালকে সরিয়ে ঝলক চক্রবর্তীকে পার্ক কমিটির দায়িত্ব দেওয়ার পেছনে রহস্য জানতে চান তিনি। বোর্ড রিজলিউশন ছাড়াই আধুনিক পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন দেব।
প্রাক্তন পুরপতি তমাল বনিক গান্ধীবাগের ঐতিহ্যকে ধ্বংস না করে অন্য কোন স্থানে হোটেল, পার্ক তৈরি করার দাবি রাখেন।
Comments are closed.