Also read in

হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা এবং ফেসবুক পোস্টের দ্বারা উত্তেজিত হবেন না, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখুন

বরাক উপত্যকাকে “শান্তির দ্বীপ” বলে অভিহিত করা হয় এবং  আমাদের অবশ্যই ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে আমরা কীভাবে পরিচিত। দেশের দায়িত্বশীল নাগরিক হিসাবে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখাটা আমাদের দায়িত্ব এবং নিজের হাতে আইন না তুলে নেওয়াটাই কাম্য। গত রাত থেকে বেশ কিছু উত্তেজক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য ছড়ানো হচ্ছে যার উদ্দেশ্য কেবল রাজনৈতিক এবং আমরা সাধারণ মানুষকে এই বার্তাগুলি দেখে বিচলিত না হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

ফেসবুক এবং হোয়াটসঅ্যাপে বিনামূল্যে খবর ও তথ্য আদান প্রদান করা যায় এবং তাই এই প্ল্যাটফর্ম দিয়ে যেকোনো কেউ কারুর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বিশ্বায়নের এই যুগে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারা তথ্য বিকৃত করে নিজের স্বপ্রনোদিত উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার ঘটনা অহরহ ঘটছে এবং এই ধরণের ষড়যন্ত্রকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করাটাই সবচেয়ে ভালো উপায়। হ্যাঁ, গতকাল মধ্যরাতে যা ঘটেছিল সেটা দুঃখজনক, কিন্তু প্রত্যেক নাগরিকেরই জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে অধিকার আছে রাত্রে বেলা শান্তিতে ঘুমোনোর, প্রশাসনের সেটা দেখা উচিত। মানুষের ঘরে পাথর ছোঁড়া হলে এটি একটি বিশাল নিরাপত্তাজনিত সমস্যা। কিন্তু এইসব বিষয়গুলি দেখার জন্য বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা আছে যা প্রক্রিয়া অনুসারে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। আমাদের বড় সংখ্যায় রাস্তায় গিয়ে আইন হাতে না নিয়ে প্রশাসনের উপর বিশ্বাস রাখা উচিত।

আমাদের সংবাদদাতা জানান যে বিভিন্ন সংগঠন শহরের রাস্তায় জড়ো হচ্ছে যা ভালো লক্ষণ নয়। সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী বিভিন্ন সংগঠনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতারা এই চাপা উত্তেজনার শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য এসপি রাকেশ রৌশনের উপস্থিতিতে শিলচর পুলিশ স্টেশনে একটি বৈঠকে বসেন।

আমরা বরাক উপত্যকার সকল জনসাধারণকে আবেদন জানাচ্ছি যে সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো এই বার্তাগুলির দ্বারা উত্তেজিত না হওয়ার জন্য এবং দয়া করে আইন নিজের হাতে নেবেন না, বিচার ব্যবস্থার উপর বিশ্বাস রাখুন, প্রশাসনকে নিজের কাজ করতে দিন। একটি ছোট্ট ঘটনাকে এইভাবে সাম্প্রদায়িক রং লাগানোটা উচিত নয়।

Comments are closed.