সহকর্মীকে মারধরের অভিযোগে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রিসার্চ সাইন্টিস্ট সুপ্রতীক রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ, ছাঁটাই চাকুরী থেকে
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাতাহাতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার হলেন রিসার্চ সাইন্টিস্ট, চাকুরি ও খোয়ালেন।
হাসপাতালের ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ান ফুজাইল ইসলাম মাজারভূঁইয়ার পিতার এক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুঙ্গুর পুলিশ তদন্ত চালায়। অভিযোগে বলা হয়েছিল ২৪ বছর বয়স্ক ল্যাবরেটরি টেকনিশিয়ানকে গত ২ সেপ্টেম্বর শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত রিসার্চ সাইন্টিস্ট সুপ্রতীক রায় শারীরিকভাবে নিগৃহীত করেন।
তদন্ত চালিয়ে ঘুঙ্গুর পুলিশ সুপ্রতীক রায়কে গ্রেফতার করে।
“তদন্তকারী অফিসার জানিয়েছেন যে, রায়ের বিরুদ্ধে যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। সুপ্রতীক রায় ঘুসি মেরে সহকর্মীর চোয়াল ভেঙে দিয়েছেন। তাকে শিলচর সদর থানার নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আজ আদালতে তোলা হবে “, জানান ঘুঙুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পি চন্দন বরা।
এদিকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ জানিয়েছেন যে, ফুজাইল ইসলাম মাজারভূঁইয়ার পিতা ফখরুল ইসলাম মাজারভূঁইয়া বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। “এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এক অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। এই কমিটি তাদের রিপোর্ট দাখিল করেছে এবং তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রতীক রায়কে চাকুরী থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে।”, জানান শিলচর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ বাবুল বেজবরুয়া।
শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো এক বৃহৎ এবং ঐতিহ্য মন্ডিত স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে এমনতরো ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
Comments are closed.