Also read in

"আমি আমিনুল হকের ভাইপো," অভিযোগ অনুযায়ী মেয়ে সহপাঠীর হাত ধরে অভদ্রতার পর বলে ছাত্র, গুরুচরণ কলেজে উত্তাল পরিস্থিতি

রাত পোহালেই সরস্বতী পূজো, প্রস্তুতির সুবিধার্থে কলেজের ক্লাস বাতিল হয়েছে। যারা পুজোর প্রস্তুতিতে অংশ নিচ্ছে তারাই কলেজ চত্বরে রয়েছে। এর মধ্যেও এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি গড়ে ওঠে শিলচরের ঐতিহ্যবাহী গুরুচরণ কলেজের। একাংশ ছাত্রের বয়ান অনুযায়ী, কলেজের কাছাকাছি এলাকায় এক ছাত্র সোমবার দুপুরে প্রকাশ্যে কলেজের ছাত্রীর হাত ধরে টানাটানি করে। এতে ছাত্রী অপমানিত বোধ করে এবং রেগে গিয়ে অন্যদের জানায়। তবে ছাত্রটি দাম্ভিক গলায় বলে সে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করের ভাইপো, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। এরপর সহপাঠীরা এর বিরুদ্ধে জোরালো আওয়াজ তোলেন এবং পরিস্থিতি বেশ সরগরম হয়ে উঠে। শেষমেষ পুলিশ ডাকা হয় এবং কলেজের অধ্যক্ষের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়।

গুরুচরণ কলেজের অধ্যক্ষ বিভাশ দেব জানিয়েছেন, ছাত্রটির পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয়েছে, এছাড়া ছেলেটি আদৌ এভাবে বয়ান দিয়েছে কিনা সেটা যাচাই করে দেখতে হবে। তিনি বলেন, “সরস্বতী পূজোর প্রস্তুতির জন্য সোমবার কলেজের ক্লাস বাতিল করা হয়েছিল। তবে হঠাৎ লক্ষ্য করি আমার কার্যালয়ের সামনে ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়েছে, তাই তাদের সঙ্গে কথা বলি। যেটা খবর পেয়েছি, ছেলেটি পুজো কমিটির সদস্যই নয়। তাহলে তার কলেজে আসার কি কারণ ছিল জানিনা, তবে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা বলছে ছেলেটি নিজেকে উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করের ভাইপো বলে পরিচয় দিয়েছিল। ছাত্রদের বয়ান অনুযায়ী একটি ছাত্রীর হাত ধরেছিল সে। তবে ছেলেটি এই কথা অস্বীকার করেছে। আমরা ছাত্র এবং ছাত্রীটির অভিভাবকদের ডেকে পাঠিয়েছি, তারা এলে এব্যাপারে কথা হবে। যেহেতু পুলিশের আধিকারিকরা কলেজে এসেছিলেন তারা তদন্ত করবেন এবং আমরা এরজন্য অপেক্ষা করবো।”

তবে ছাত্রছাত্রীরা এমন দাম্ভিক বয়ান শুনে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ছেলেটি আগেও একইভাবে উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করের পরিচয় দিয়ে বয়ানবাজি করেছে। সে প্রায়ই এমনটা করে, সহপাঠী ছেলেমেয়ে প্রত্যেকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে এবং কেউ প্রতিবাদ করলে উপাধ্যক্ষের দোহাই দিয়ে দম্ভ দেখায়। তবে এব্যাপারে ছেলেটির পরিবার বা উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্করের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি। যেহেতু এটি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয় এবং প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ নিজে পুলিশের সহায়তায় পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন, ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Comments are closed.