Also read in

শোকের ছায়া-শিলচর রাধামাধব রোডের সন্ধান হীন ছাত্র দেবরাজ রায়ের মৃতদেহ উদ্ধার

রবিবার দুপুরে মোবাইল সারাই এবং গেম খেলার কথা বলে বাবার কাছ থেকে ৪০০ টাকা নিয়ে বেরিয়েছিল রাধামাধব রোডের তরুন দেবরাজ রায়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি সে। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর পঁচা গলা মৃতদেহ পাওয়া যায় পঞ্চায়েত রোডের এক হোস্টেলের বাথরুমে।

রাধামাধব রোডের ব্যবসায়ী গোপাল রায়ের ছেলে দেবরাজ নবম শ্রেণীর ছাত্র। রবিবার সকাল থেকেই বাবাকে মোবাইল সারাইয়ের জন্য ৩০০ টাকা আবদার করছিল। দুপুরে বাবা রাজি হলে, গেম খেলা এবং কিছু খাবার জন্য আরও ১০০ টাকা নিয়ে বেরিয়ে যায় দেবরাজ। যাবার সময় বলে, তাঁর ফিরতে দেরী হবে। তবে সন্ধ্যার পরও সে না ফেরায়, পরিবারের লোক ফোন করেন। সে ফোন তোলেনি, আর সারা রাত বাড়িও ফেরেনি। সকাল ৮টা নাগাদ তাঁর মোবাইলও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোক পুলিশে খবর দেন, পাশাপাশি শুরু হয় তাঁকে খোঁজার তোড়জোড়। দিনরাত খুঁজেও কোনও সন্ধান মেলেনি। মঙ্গলবার দুপুরে পঞ্চায়েত রোডের জনৈক ব্যক্তি তাঁদের ফোন করে জানান, তাদের ছেলেটির খোঁজ পাওয়া গেছে। তবে এলাকায় পৌছে গোপাল রায় এবং পরিবারের অন্যরা বুঝতে পারেন, তাঁদের ছেলে আর নেই। কান্নায় ভেঙে পরেন তারা।

ডিএসপি এ জে বড়ুয়া এবং ম্যাজিস্ট্রেট জনাথন বাইপিঙ এর নেতৃত্বে এক পুলিশ বাহিনী পচাগলা মৃতদেহটি উদ্ধার করে এদিন। পরিবারের পক্ষে সনাক্তকরণের পর একে পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়।

 

 

পুলিশের তরফে জানানো হয়, পঞ্চায়েত রোডের সামসুল ইসলাম লস্করের বাড়িতে থাকা ছাত্রাবাসের বাথরুমে মঙ্গলবার মৃতদেহটি পাওয়া যায়। ছাত্রাবাসের পরিচারিকা ঘর পরিস্কার করতে গিয়ে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার মানুষকে জানান। এলাকাবাসিরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন এব্যাপারে জানিয়েছেন, মৃত্যুর সরাসরি কোনও কারন জানা না গেলেও, দেবরাজের শরীরে কোনও বড় আঘাতের চিহ্ন নেই। অনেকেই মনে করছেন এর পেছনে ড্রাগস এর অভারডোজ। তবে পুরোটাই তদন্তের পরে জানা যাবে।

স্থানীয় লোকের অভিমত, উঠতি তরুণদের ড্রাগস সেবনের একটা বিশেষ জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত রোড এলাকাটি। স্থানীয় পুরকমিশনার অসীম দাস এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আস্বাস দেন।

দেবরাজের পরিবারের তরফে মৃত্যুটি খুন বলেই দাবি করা হয়েছে। তারা বলেন, আমাদের ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে এবং কোনও দুষ্ট চক্র তাকে হত্যা করেছে। এভাবে কেউ নিখোঁজ হয়ে মারা যায়না। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাবো। প্রয়োজনে জনপ্রতিনিধিদের কাছেও যাবো।

Comments are closed.