শিলচরে ভোট শান্তিপূর্ণ, ভোটের হার ৭৩.৮৯%
লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বের ভোট গ্রহণে শিলচর লোকসভা নির্বাচন চক্রে সরকারি সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ৭৩.৮৯ শতাংশ ভোট পড়েছে। শিলচর নির্বাচন চক্রে লোকসভার সদস্য নির্বাচনে সকাল থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দিপনা পরিলক্ষিত হয়েছে। নিজেদের অধিকার প্রয়োগে তাড়াতাড়ি ভোট প্রদানের লক্ষ্যে সকাল থেকেই নির্বাচনী বুথে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোটাররা।
এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, শিলচর লোকসভা নির্বাচন চক্রে মোট ভোটারের সংখ্যা হচ্ছে ১১,৯১,২৮৯। এর মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬,১৩,৯৩১ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৫,৭৭,২৮৩। অন্যান্যরা ৭৫। এবার ১৩ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করতে শিলচরে মতদান করেছেন মোট ৭৩.৬০% ভোটার। সোনাই বিধানসভা চক্রে ভোট পড়েছে ৭৩.৬০%। ধলাই বিধানসভা চক্রের ভোট প্রদানের হার ৭২.৬০। অন্যদিকে উধারবন্দে ৭৪.৪০% ভোট পড়েছে বলে জানা যায়। লক্ষ্মীপুর বিধানসভা চক্রে ভোট পড়েছে ৭৩.৯০%।
শিলচর নির্বাচন চক্রে লড়াই মূলত কংগ্রেসের প্রার্থী সুস্মিতা দেব এবং বিজেপি প্রার্থী রাজদীপ রায়ের মধ্যে।
শিলচর লোকসভা আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী সুস্মিতা দেব বলেন, শিলচরে কংগ্রেসের জয় নিয়ে তিনি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী। কেন্দ্র ও আসাম সরকার শিলচরের জনগণ এবং জনগণের প্রতি প্রতিশ্রুতি পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। একজন সাংসদ হিসেবে তিনি শিলচরের জনগণের অগ্রগতি নিয়ে অনেকগুলো বিষয় উত্থাপিত করেছেন এবং বেশিরভাগ মানুষই তার কাজে খুশি। বৃহস্পতিবার সকালে ভোট প্রদানের আগে তিনি বলেন,” আমি বিশ্বাস করি যে জনগণ আমার সাথে থাকবেন।”
তিনি দাবি করেন,বিজেপি এবার চাপে রয়েছে, কিন্তু কংগ্রেস মোটেই নয়। তিনি আরো বলেন, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেয় না তার দল, যা প্রতিশ্রুতি দেয় তা পালনও করে। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে উল্লেখ করেন, বিজেপি প্রার্থী রাজদীপ রায় মনে করছেন মোদি তরঙ্গে তিনি জিতে যাবেন। কিন্তু তার ভাবনা যে পুরোপুরি ভুল, তা প্রমাণ হবে।
এদিকে শিলচর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী রাজদীপ রাযয়ের কন্ঠেও স্পষ্ট ছিল আত্মবিশ্বাস। তিনি বলেন, বরাক উপত্যকার দুটি আসনেই বিজেপি বিপুল ভোটে জয়ী হবে বলে তিনি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।
তিনি আরো বলেন, এ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দুটি সমাবেশই বরাক উপত্যকার জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। এ থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে জনগণ বিজেপির সঙ্গে রয়েছেন। অন্যদিকে পাঁচগ্রামে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সমাবেশে ৫০০০ লোকও হয়নি। এ থেকেই সব কথা স্পষ্ট হয়ে যায় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এক্ষেত্রে দুজন প্রার্থী সমানভাবে আত্মবিশ্বাসী হলেও শিলচরের জনগণ কার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন, সে পর্ব এখন সম্পূর্ণ। এখন শুধু হিসেবের পালা। শিলচর নির্বাচন চক্রে কার হাতে বিজয় পতাকা উঠবে তা জানতে অবশ্যই ২৩মে অব্দি অপেক্ষা করতে হবে।
Comments are closed.