Also read in

'হোর্ডিংয়ের লেখা মোছার পেছনে প্রদীপ দত্তরায়, দিলীপ পাল' : বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী; দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি

সরকারি হোর্ডিংয়ের অসমীয়া ভাষায় লেখাকে কালো করার ঘটনায় সমগ্র রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের যুব ইউনিট শিলচর রেলওয়ে স্টেশন এবং শিলচরের অন্যান্য স্থানগুলোতে এই কাজ করে । বাংলা বরাক উপত্যকার সরকারি ভাষা হলেও বাংলাকে উপেক্ষা করে অসমিয়া ভাষায় কেন সরকারি বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয় এই নিয়ে তাদের ক্ষোভ। শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী অসমিয়া ভাষায় লেখাকে কালো করার কাজের তীব্র নিন্দা করেছেন। বরাক বুলেটিনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, “যারা অসমিয়া পোস্টারকে অপমান করছে তারা দেশবিরোধী।” বিধায়ক যোগ করেছেন, “বরাক উপত্যকা একটি শান্তিপূর্ণ জায়গা এবং আসাম সরকার ২০১৬ সাল থেকে বরাকের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছে, সে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী হোন কিংবা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। আমরা বরাক উপত্যকায় পূজা উদযাপনে মুখ্যমন্ত্রীকে অংশ নিতে দেখেছি। শিলচর ও কাছাড়ের মধ্যে উন্নয়নের নতুন জোয়ার এসেছে। কিছু স্বার্থান্বেষী তা সহ্য করতে পারছে না এবং ঘৃণা জাগানোর চেষ্টা করছে।”

বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট হল প্রদীপ দত্ত রায় প্রতিষ্ঠিত একটি সংগঠন । দত্তরায় অল কাছাড় হাইলাকান্দি করিমগঞ্জ স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের (ACKSHA) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী সন্দেহ করেন যে জঘন্য পরিবেশ তৈরির প্রচেষ্টায় প্রাক্তন বিধায়ক দিলীপ পালের হাত রয়েছে। “এটা সুপরিচিত যে দিলীপ পাল প্রদীপ দত্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং বিধানসভা নির্বাচনের সময় পাল প্রদীপ দত্ত রায়কে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করেছিলেন। এছাড়াও, অনেক বিদ্রোহী আছে যারা বিজেপি ছেড়ে দিলীপ পালকে তাঁর নির্বাচনী প্রচারে সহযোগিতা করেছিল, তাদের ও হোর্ডিং নষ্ট করতে দেখা গেছে,” চক্রবর্তী বলেন। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

উল্লেখ্য, বিডিএফ -এর যুব শাখা রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিবাদ করার সময় দীপায়ন চক্রবর্তীকে একহাত নেয়। “ঢিল ছুড়া দুরত্বে এমএলএ’র বাসভবন, তিনি কি করছেন যখন সরকারি বিজ্ঞাপন অসমিয়াতে প্রকাশিত হয় এবং শিলচর রেলওয়ে স্টেশনে লাগানো হয়। এই রেল স্টেশনে এগারোজন শহীদ বাংলাকে বরাক উপত্যকার (তখন কাছাড়) সরকারি ভাষা হিসেবে সুরক্ষিত করার জন্য তাদের জীবন দিয়েছিলেন ,” একজন প্রতিবাদী বিডিএফ সদস্য বলেছিলেন। চক্রবর্তীর প্রতিক্রিয়া, “আমি মনে করি না যে এই ঘটনাটি ১৯ মে’র ঘটনার সাথে উচ্চারিত হওয়া উচিত কিংবা যুক্ত করা উচিত কারণ ভাষা শহিদ দিবস অসমিয়া বা অন্য কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নয়।”

Comments are closed.