অসমীয়া ভাষায় লেখা বিজ্ঞাপন পরিবর্তনের জন্য ৪৮ ঘন্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন প্রদীপ দত্ত রায়
বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (বিডিএফ) সভাপতি প্রদীপ দত্ত রায় অসমিয়া লিপি সম্বলিত সরকারি বিজ্ঞাপনকে বাংলা ভাষা দিয়ে প্রতিস্থাপন করতে জেলা কর্তৃপক্ষকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিলেন।
মেহেরপুর পেট্রোল পাম্পের একটি অত্যন্ত দৃশ্যমান স্থানে কোভিড টিকা সংক্রান্ত বার্তা সহ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সম্বলিত একটি বিশাল সরকারি হোর্ডিং স্থাপন করা হয়েছে। শিলচরে অসমীয়া ভাষায় সরকারি বিজ্ঞাপনের ধারাবাহিক বিতর্ক এবং এর ফলশ্রুতিতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশে প্রতিশোধ হিসেবে বাংলা ভাষার হোর্ডিং-ব্যানার বিকৃত করার অনেক ঘটনার পর ও এমনটা ঘটল ।
“এত প্রতিবাদ, হুলস্থূল এবং তোলপাড়ের পরেও শিলচরে অসমীয়া ভাষায় ভারত সরকারের আরেকটি ব্যানার দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত এবং মর্মাহত ,” বিডিএফ এর প্রতিষ্ঠাতা প্রদীপ দত্ত রায় পোস্টার সম্পর্কে আগে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন। তিনি বরাক উপত্যকার বাঙালিদের একতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
এখন, বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের
প্রধান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট দত্ত রায় এই অসমীয়া ভাষা সমন্বিত ব্যানারটি অপসারণের জন্য জেলা প্রশাসনকে ৪৮ ঘন্টার একটি আল্টিমেটাম দিয়েছেন কারণ পোস্টারটি আসাম সরকারী ভাষা (সংশোধন) আইন, ১৯৬১’র চূড়ান্ত লঙ্ঘন।
“মেহেরপুরে আরেকটি অসমিয়া ব্যানার স্থাপনের পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে, এমনকি
অনেক মিডিয়া বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন করেছে, কিন্তু সরকার কিছু করছে না। আমি এখানে বলছি; যদি আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সাইনবোর্ডটি বাংলা সাইনবোর্ড দিয়ে প্রতিস্থাপন করা না হলে বিডিএফ ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে,” বলেন অ্যাডভোকেট প্রদীপ দত্ত রায়। তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে অবগত থাকলেও অন্য দায়িত্ব এড়িয়ে চলেছেন ।
জেলা প্রশাসককে কটাক্ষ করে প্রদীপ দত্ত রায় বলেন, এ অঞ্চলের সাম্প্রদায়িক ও জাতিগত সম্প্রীতির বিষয়টি ডিসি উপেক্ষা করছেন।
Comments are closed.