বুকে ব্যথা! প্রদীপ দত্ত রায়কে গভীর রাতে নিয়ে যাওয়া হল শিলচর মেডিকেল কলেজে; ভর্তি করতে অস্বীকার করলেন চিকিৎসকরা
প্রদীপ দত্ত রায় অসুস্থ এবং চিকিৎসাধীন, তাই তার স্ত্রী ও মেয়ে কারাগার কর্তৃপক্ষের কাছে বাড়ির খাবার দেবার অনুমতি চেয়েছিলেন। লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার পরে, দত্ত রায়ের সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে এবং সেইজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে বাড়ি থেকে স্বাস্থ্যকর খাবার এবং ফুটানো জল সরবরাহ করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। পরিবারের সদস্যদের অনুরোধ জেল প্রশাসন প্রত্যাখ্যান করে এবং তাকে লক আপে রাখা হয় ও অন্যান্য বন্দীদের মতো খাবার সরবরাহ করা হয়।
শেষ রাত্র ২টা নাগাদ তিনি বুকে ব্যথার অভিযোগ করলে জেল সুপার পরিবারকে চিকিৎসার পরামর্শ নেওয়ার অনুমতি দেন এবং তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে চিকিৎসকরা তাকে চিকিৎসা করেন কিন্তু ভর্তি করতে অস্বীকার করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুকে ব্যথা ও পা ফুলে যাওয়ার অভিযোগ করলেও চিকিৎসকরা প্রদীপ দত্ত রায়কে ভর্তি করতে রাজি হননি।
সংশ্লিষ্ট ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলি জানিয়েছে যে, চিকিৎসারত ডাক্তাররা তাকে যথাযথ চেক-আপের জন্য জায়গাও দেননি। পরিবর্তে, চিকিৎসকরা বলেছিলেন যে, তিনি ভাল আছেন এবং তাকে শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া উচিত।
ভোর ৪-৩০ মিনিটে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বরাক বুলেটিনের সংবাদদাতা জানিয়েছেন যে, পরিবারের সদস্যরা তাকে ভর্তি করার জন্য ডাক্তারদের জোর দিচ্ছে, কিন্তু ডাক্তাররা তাদের অবস্থানে দৃঢ় রয়েছেন এবং তাকে জেলে নিয়ে যেতে বলছেন।
শেষমেষ তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
Comments are closed.