কাছাড়ের এই কালী মন্দিরে রয়েছে ১০০ বছর আগে মাটি খুঁড়ে পাওয়া মূর্তি, জানাচ্ছেন প্রফেসর পার্থঙ্কর চৌধুরী
এই কালী মন্দির সম্পর্কে তুলনামূলক ভাবে অনেকেরই কম জানা। প্রস্তরখণ্ডে খোদাই করা কালীমূর্তির চোখ ও জিহ্বা সোনা দিয়ে বাঁধানো। নিত্যদিন পূজিত হয়ে আসছেন এখানে মা কালী।
বরাক উপত্যকার দেওয়ান চা বাগানের অদূরে লালং চা বাগানে আজ থেকে আনুমানিক ১০০ বছর আগে চারাগাছ লাগানোর উদ্দেশ্যে সেকসন খোড়ার সময় মাটির নিচ থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছিল। প্রস্তরখণ্ডে খোদাই করা কালীমূর্তির শুধুমাত্র মাথায় অংশটুকুই মাটির নিচে পাওয়া গিয়েছিল।
এতদিন আগে ওরকম বিরল স্থানে এরকমের মূর্তি কি করে এসেছিল, তার কোনও ঐতিহাসিক অধ্যয়ন আজ অবধি কেউ করেন নি। তবে এতদঞ্চলে কাছাড়ি রাজাদের শাষনের সঙ্গে এর কোন যোগাযোগ থাকলে থাকতেও পারে বলে অনেকেরই অনুমান।
এটি উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, কাছাড়ি রাজাদের রাজধানী ছিল মাইবং (বর্তমানে ডিমা হাসাও জেলার অধীনে) যা পরবর্তীতে কাছাড়ের খাসপুরে (উধারবন্দের কাছে) স্থানান্তরিত হয়। উভয় এলাকাই বড়াইল রেঞ্জের দুই প্রান্তে পড়েছে এবং বাগান মাঝখানে অবস্থিত। দক্ষিণ আসামের এই অংশে কাছাড়ি রাজাদের রাজত্বের সাথে মূর্তিটির কিছু সম্পর্ক থাকতে পারে বলে অনুমান করা যেতে পারে, তবে এই বিষয়ে কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা না করা পর্যন্ত প্রামাণিকভাবে কিছুই বলা যাবে না।
Comments are closed.