
রোহন সদিয়াল কাণ্ডে পঞ্চায়েত প্রতিনিধির গ্রেফতারে প্রতিবাদমুখর মধুরবন্দ, বিধায়ক আমিনুলকে বয়কটের হুমকি
বিজেপির মধুরবন্দ প্রচার সভায় হামলা চালানোর অভিযোগে গতকাল গ্রেফতার করা হয় নাদির খান অর্থাৎ রকিকে, এই নিয়ে সরগরম মধুরবন্দ এলাকা। পুলিশ ঘটনার মূল অভিযুক্ত রোহন সদিয়লকে খুঁজছে ।
এই ঘটনাক্রমের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতে এক প্রতিবাদী সভা অনুষ্ঠিত হয় মধুরবন্দ মায়া ভবনে। বিধায়ক আমিনুল হক লস্করের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন উপস্থিত স্থানীয় নাগরিকরা।
বিধায়ক আমিনুল হক লস্কর শনিবার পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছিলেন। রবিবার সকালেই মধুরবন্দ জিপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের গ্রুপ মেম্বার নাদিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পেশ করে। আদালতের নির্দেশে তাকে হাজতে পাঠানো হয়। মূল অভিযুক্ত রোহনকে যদিও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মধুরবন্দ এলাকা। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ মোতায়েন করা হয় আমিনুলের বাড়ির কাছে।
রাতে মায়া ভবনে প্রায় ৫০০ স্থানীয় নাগরিকের উপস্থিতিতে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পৌরোহিত্য করেন আলাউদ্দিন মজুমদার; উপস্থিত ছিলেন গাঁও পঞ্চায়েত সভাপতি সাহির আহমেদ লস্কর সহ আনোয়ার আহমেদ লস্কর, রুহুল আমিন লস্কর, ভুলাই মিয়া, আজাদ হোসেন লস্কর প্রমূখ ।
সভায় বিভিন্ন বক্তা বিধায়ক আমিনুলের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করে বলেন, বিধায়ক ইচ্ছাকৃতভাবে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করাচ্ছেন, জেহাদী সাজাতে চাইছেন। আমিনুল হক ব্যাপারটা মিটিয়ে না নিলে তাকে সামাজিকভাবে বয়কট করার হুমকি দেন বক্তারা। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, সোমবার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হবেন নাগরিকরা এবং সু বিচার চাইবেন। বিধায়ক আমিনুল যদি সুষ্ঠু সমাধান না করেন এবং এই ছেলেদেরকে জেহাদী সাজানোর প্রয়াস থেকে বিরত না হন তা হলে দুই একদিনের মধ্যেই বরাকপার, মেহেরপুর, ভাগাডহর, বেরেঙ্গা কনকপুর জিপির জনগণকে নিয়ে এক বড় ধরনের সভা করা হবে। সভায় বিধায়ককে সামাজিকভাবে বয়কট করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও ব্যাপারটা জানানো হবে।
উল্লেখ্য, শওকত আলির সাহায্যে চাঁদা সংগ্রহের জন্য নিয়াইরগ্রামে বিজেপির সভার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় রোহন সদিয়ল এবং তার সঙ্গী সাথীদের নিগৃহীত করা হয় বলে অভিযোগ। পরে মধুরবন্দেও তাদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ।
Comments are closed.