
'আমরা শাস্তি চাই': চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে শিলচর মেডিক্যাল কলেজে বিক্ষোভ
কলকাতার চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে এবার আন্দোলিত হলো শিলচর মেডিক্যাল কলেজ। আহত ডাক্তারদের সমর্থনে সোচ্চার হলো পিজিটি ইউনিয়ন, জেডিএ ও ছাত্র ইউনিয়ন। সারা দেশের ডাক্তারদের অনুভূতি প্রতিধ্বনিত হলো আজ বৃহস্পতিবার ব্যাপক এক বিক্ষোভ মিছিলের মাধ্যমে। শিলচর মেডিক্যাল কলেজের ফ্যাকাল্টি ও কর্মীদের সহায়তায় পিজিটি ইউনিয়ন, জেডিএ ও ছাত্র ইউনিয়ন শিলচর মেডিক্যাল কলেজে এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চিকিৎসক নীলাঞ্জনা চৌধুরী বলেন, ” আমাদের দাবি হচ্ছে, রোগীদের সেবা করতে চিকিৎসকদের জন্য নিরাপদ কর্ম পরিবেশ সুনিশ্চিত করে দিতে হবে সরকারকে। প্রয়োজনে আইন আরও কঠোর হওয়া উচিত যাতে করে কেউ হাসপাতালের চিকিৎসকদের উপর হামলা চালাতে না পারে। সেটা সুনিশ্চিত করা খুব জরুরি।”
শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বাবুল বেজবড়ুয়া আরো যোগ করেন যে তাদের প্রতিবাদ সঠিক এবং চিকিৎসকদের জন্য নিরাপত্তা আরও সুনিশ্চিত করা উচিত, বিশেষ ভাবে রাত্রি বেলা। তিনি বলেন, জরুরি পরিষেবায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে পিজিটি ইউনিয়ন,জেডিএ এবং ছাত্র ইউনিয়ন এই প্রতিবাদ করছে। চিকিৎসকদের আরও নিরাপত্তা প্রয়োজন। এই পরিস্থিতিতে যে কোনো সময় যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। আমাদের এটা মনে রাখা খুব জরুরি, বিশ্বের যে কোন জায়গায় একজন ডাক্তারের মৃত্যুর অর্থ হচ্ছে এক হাজার রোগীকে ভোগান্তি পোহানো। একজন ডাক্তার পারে এক হাজার রোগীকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনে বাঁচিয়ে তুলতে।”
প্রতিবাদকারীরা সমগ্র ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তারা পরিবহ মুখোপাধ্যায়, যশ টেকওয়ানি ও অন্যান্যদের উপর হামলার আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে সোমবার রাতে ৭৫ বয়সী একজন বৃদ্ধ মারা যান। এরপর সেই রোগীর সঙ্গে যারা এটেনডেন্ট ছিলেন তারা এ জন্য ডাক্তারদের দোষারোপ করতে শুরু করেন এবং সঙ্গে তাদের মারধর করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর সঙ্গের মানুষদের এধরনের প্রতিক্রিয়ায় পরিবারের সদস্যদের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন। কিন্তু এরপর দুই ট্রাক ভর্তি লোক হাসপাতলে পৌঁছায় এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরা যারা রোগীদের সেবা করছিলেন তাদের মারতে শুরু করে। এই হামলায় প্রায় ২০ জন চিকিৎসক আহত হয়েছেন। একজন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহন মুখার্জিকে ইট দিয়ে মারধর করলে তার কপাল ফেটে যায়। এই ঘটনায় যশ টেকওয়ানি বলে আরেক চিকিৎসকের পাঁজর এবং মেরুদণ্ডের অনেক জায়গা ভেঙ্গে যায়।
Comments are closed.