শিলচরের ঘরোয়া ফুটবলে প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে রেফারিং করে নজির গড়লেন রাগিনী কুমারী সিং। শুক্রবার সাময়িক প্রসঙ্গ মহিলা ফুটবল ম্যাচে সহকারি রেফারির ভূমিকা পালন করেন তিনি। এর সঙ্গেই স্থানীয় ফুটবলে এক নতুন ইতিহাস রচনা করলেন রাগিনী। যা আগামী দিনে অন্য মহিলাদেরও প্রেরণা যোগাবে। সমাজের কোনো ক্ষেত্রেই যে মহিলারা এখন আর পিছিয়ে নেই, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হলেন রাগিনী।
গত বছর ডিসেম্বরে উয়েফা চাম্পিয়নস লিগে জুভেন্টাস বনাম ডায়নামো কিয়েভ ম্যাচে রেফারিং করেছিলেন স্টিফেনি ফ্রাপার্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সেদিনই প্রথম কোনও মহিলা রেফারি রেফারিং করেছিলেন। অথচ কয়েক বছর আগেও এ নিয়ে কেউ কল্পনা করতে পারেননি। একইভাবে শিলচরের মাটিতেও এভাবে একজন মহিলা রেফারি রেফারিং করবেন সেটাও ছিল কল্পনার বাইরে। কিন্তু রাগিণীর মতো মহিলা ফের একবার প্রমান করলেন তারা কোনও কিছুতেই এখন আর পিছিয়ে নন।
রাগিনী নিজেও এমন কিছু একটা করতে পেরে দারুণ খুশি। বরাক বুলেটিন কে তিনি বলেন, ‘প্রথমার্ধে কিছুটা নার্ভাস ছিলাম। তবে দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিট থেকেই খুব উপভোগ করেছি।’
শিলচরের প্রথম মহিলা রেফারি জানান, শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার রেফারি শাখার প্রত্যেকের কাছ থেকে খুব সাহায্য পেয়েছেন। তবে তিনি আলাদাভাবে উল্লেখ করেন রেফারি শাখার সচিব তপন দাস ও জাতীয় রেফারি নির্মল ভট্টাচার্যের কথা। রাগিনী বলেন, ‘তপন স্যার আমায় শুরু থেকেই খুব উৎসাহ দিয়েছেন। সব সময় সমর্থন করে গেছেন। খুব সাহায্য পেয়েছি নির্মল স্যারের কাছ থেকেও।’
মূলত হাইলাকান্দি জেলার বর্ণী ব্রিজ চা বাগানের বাসিন্দা রাগিনী। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের প্রতি তার বিশেষ টানছিল। হাইলাকান্দি ও শিলচর দুই জেলার হয়েই জেলা স্তরের ফুটবলে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। পরিবারের কাছ থেকেও সব সময় সমর্থন পেয়েছেন রাগিনী। তার এই সাফল্য শিলচরের ফুটবলের জন্য দারুণ এক খবর। এর জন্য কৃতিত্ব দিতে হবে ডি এস এর রেফারী ব্রাঞ্চকেও। এ বছরই রাগিণীর অসম ফুটবল সংস্থার ক্যাট ফাইভ পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে সেটা স্থগিত করে দেয় অসম ফুটবল সংস্থা। নতুন করে এর কোন সূচি প্রকাশ করেনি তারা। তবে শুক্রবার শিলচরের ঘরোয়া ফুটবলে রেফারির দায়িত্ব পালন করে শুরুটা কিন্তু দারুন করলেন রাগিনী।
Comments are closed.