পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন গৌতম -রাহুল : সুজাম উদ্দিন
প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় কিংবা জেলা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল রায়ের কোন করিশমা্ই কাজে আসবে না। কারন পিতা পুত্রের গোপন এজেন্ডা জনসাধারন বুঝে গেছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর হাইলাকান্দি জেলা পরিষদ বিজেপির হাতে উপহার হিসেবে তুলে দিয়ে গেরুয়া দলে যোগ দিতে এক গোপন পরিকল্পনা করছেন পিতা-পুত্র। তাই মুখোশধারী ওই দুই নেতার প্রলোভনে পা না দিতে হাইলাকান্দিবাসীকে আহবান জানালেন বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর।
কাটলিছড়ার রংপুর রামচন্ডী, জামিরা ঘাড়মুড়া জেলা পরিষদ এলাকায় একাধিক নির্বাচনী সভায় অংশ নিয়ে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন গৌতম -রাহুলের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর এ অভিযোগ করে বলেন, এআই ইউডিএফ দলের নেতৃত্বে এবার হাইলাকান্দি জেলা পরিষদ গঠিত হবে। এনিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
এদিকে রংপুর রামচন্ডী জেলা পরিষদ আসনে ইউডিএফ দলের প্রার্থী, তথা পত্নী ফরহানা বেগম লস্করের পালে হাওয়া তুলতে বিভিন্ন জিপিতে জোর প্রচারাভিযান শুরু করেছেন বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর। সাহাবাদ, মোহাম্মদপুর জয়কৃষ্ণপুর, কৈয়া রামচন্ডী, আপিন রংপুর, টান্টু ধনিপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে সভা সমাবেশে দাঁড়িয়ে বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর, কংগ্রেস বিজেপিকে উৎখাতের ডাক দেন। প্রতিটি সভায় প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায় ও জেলা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল রায়কে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করে গৌতম-রাহুলকে তুলোধুনো করে বলেন এবারের পঞ্চায়েত ভোটে তাদের কোন ক্যারিস্মাই কাজে আসবে না। এবারের পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেস ও বিজেপিকে উৎখাত করতে ইউডিএফ প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। কংগ্রেসের অপশাসনের যোগ্য জবাব দিতে তিনি জনতার প্রতি আহবান জানান।
টান্টু নতুনবাজার, মোহাম্মদপুর, মোল্লাকূপা এলাকায় আয়োজিত পৃথক পৃথক সভায় সুজাম উদ্দিন আর ও বলেন বিগত ত্রিশ বছরে গৌতম রায় যা করতে পারেন নি, তা তিনি করে দেখাচ্ছেন। কাটলিছড়া এম ভি স্কুল রোড থেকে সাহাবাদ মোহাম্মদপুর হয়ে গাগলাছড়া পর্যন্ত এ এন্ড ডি বাঁধ পাকা হচ্ছে। ইতিমধ্যে মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে মোহাম্মদপুর এলাকায়।
Comments are closed.