"বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন রাজদীপ, আমার সহযোগীদের ভয় দেখানো হচ্ছে," বললেন দিলীপ কুমার পাল
দলের টিকেট না পেয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন দিলীপ কুমার পাল। তিনি বিজেপির সদস্য পদ ত্যাগ করেছেন এবং তার সঙ্গে প্রায় হাজারখানেক সদস্য ইতিমধ্যে দল ছেড়েছেন। ১২ মার্চ তিনি নির্দল প্রার্থী হিসেবে শিলচরে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তবে রবিবার বিকেলে শিলচরের সাংসদ রাজদীপ প্রায় এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দাবি করেন, দিলীপ কুমার পাল নাকি সিদ্ধান্ত বদল করছেন। তার সঙ্গে দলের কেন্দ্রীয় এবং রাজ্য নেতৃত্বের কথা হয়েছে। রাজদীপ এমনটাও দাবি করেন দিলীপ কুমার পাল ১৭ মার্চ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন।
সোমবার শিলচরে নিজের কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে দিলীপ কুমার পাল বলেন, “রাজদীপ রায় ভিত্তিহীন দাবি করেছেন এবং এর পেছনে উদ্দেশ্য হচ্ছে অযথা বিভ্রান্তি ছড়ানো। একসময় তিনি এমনটাও বলেছেন দলে নাকি আমার জনপ্রিয়তা নেই, ফলে টিকিট দেওয়া হয়নি। অথচ মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় সবাই দেখেছেন জনজোয়ার কাকে বলে। এবার তিনি বলছেন আমাকে নাকি অনেকে ফোন করেছেন এবং আমি সিদ্ধান্ত পাল্টাচ্ছি। আমি স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দুবার কথা হয়েছে, এছাড়া কারও সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি। আর সিদ্ধান্ত বদলের প্রশ্নই উঠে না, আমি নির্বাচনে লড়ছি, কেননা এটা আমার কাছে ধর্মযুদ্ধ।”
তিনি জানান, তার সমর্থকদের নানাভাবে ভয় দেখানো এবং হেনস্তার চেষ্টা শুরু হয়েছে। রবিবার রাতে তার পোলিং এজেন্ট বাবুর সিংহের বাড়িতে প্রায় আধঘন্টা ধরে দুষ্কৃতীরা ঢিল ছুঁড়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করেছে। সেই সময় বাড়িতে শুধুমাত্র মহিলা সদস্যরা ছিলেন এবং তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরে পুলিশের দ্বারস্থ হন পরিবারের সদস্যরা কিন্তু এখনও আতঙ্ক যায়নি কেননা দুষ্কৃতীরা যেকোনো সময় আবার হামলা চালাতে পারে।
তিনি বলেন, “শুধুমাত্র একটা নির্বাচনকে সামনে রেখে কোথায় এসে পৌঁছে গেছি আমরা? আমাকে ভয় দেখানোর জন্য আমার সহযোগীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। অতীতে আমরা রাজনীতির এমন রূপ দেখেছি, কিন্তু আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এটা ভাবতে পারিনা।”
৯৬৬ জন বিজেপি সদস্য তির সমর্থনে দলের সদস্যপদ ত্যাগ করেছেন এবং তার সঙ্গে কাজ করছেন, জানান তিনি। এব্যাপারে দিলীপ কুমার পাল বলেন, “তারা ধর্মযুদ্ধে যোগ দিয়েছেন, আমি কাউকে একবারও বলিনি বিজেপি সদস্যপদ ত্যাগ করতে, তারা স্বেচ্ছায় কাজটি করেছেন, কেননা তাদের চোখেও অন্যায় ধরা পড়েছে। এই ধর্মযুদ্ধে ভগবান কৃষ্ণ আমার দিকে আছেন এবং আমরা জয়ী হবই।”
তিনি সমাজের প্রত্যেক ব্যক্তির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, অসমে সিন্ডিকেট রাজের ব্যাপারে প্রত্যেকে যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ইমেইল পাঠান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইমেইল এড্রেসে প্রত্যেকে সিন্ডিকেটের কথা লিখে পাঠান। অনেক বেশি ইমেইল পৌঁছে গেলে প্রধানমন্ত্রী অবশ্যই সাড়া দেবেন।”
Comments are closed.