শিলচর ডি এস এ আয়োজিত নারায়ন পাল স্মৃতি সুপার ডিভিশন লিগ কাম নকআউট প্রাইজমানি ক্রিকেটে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল ইউনাইটেড ক্লাব। বুধবার ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা আট উইকেটে হারায় যোগাযোগ সংঘ কে। প্রথম ম্যাচে টাউন ক্লাবের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়লেও পরের দু’ম্যাচে যথাক্রমে ইটখোলা এসি ও যোগাযোগের বিরুদ্ধে জয় নিয়ে ছন্দে ফিরল ইউনাইটেড।
এদিন সকালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ইউনাইটেড। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৭ উইকেটে ১৮৫ রান করে যোগাযোগ। তারা শুরুটা কিন্তু বেশ ভালোই করেছিল। ওপেনিং জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন রোশন টপনো (১৯) ও নিলয় রায় চৌধুরী (৩১)।
তবে প্রথম উইকেটের পতনের পর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। একটা সময় তো মনে হচ্ছিল দেড়শোর গন্ডিও টপকাতে পারবে না যোগাযোগ। তবে মিডল অর্ডারে সমীর সিনহার (৬৯) দুর্দান্ত অর্ধশতরানে ভালো একটা স্কোর খাড়া করে নেয় তারা। অষ্টম উইকেটের জন্য অঙ্কিত আগারওয়াল ও সমীর ৪৯ রান যোগ করেন। এরমধ্যে অঙ্কিতের অবদান ছিল শুধু ৩। দুটি করে উইকেট নেন ফজলুর রহমান, সুকান্ত দে ও নির্ঝর দাস।
জবাবে ৩৪.৫ ওভারে দু উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে (১৮৮) পৌঁছে যায় ইউনাইটেড। প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ হলেও এদিন ফর্মে ফিরলেন ডানহাতি তারকা রাজু দাস। খেললেন অপরাজিত ৮৪ রানের ঝকঝকে অর্ধশতরানের ইনিংস। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকান প্রসেনজিৎ সরকারও (অপরাজিত৭১)। প্রদীপ সরকার করেন ২৮। তৃতীয় উইকেটের জন্য রাজু ও প্রসেনজিৎ অবিচ্ছন্ন ১২৮ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
আসলে টানা স্পিন আক্রমণ দিয়ে একটা সময় ইউনাইটেডের ব্যাটসম্যানদের চাপে রেখেছিল যোগাযোগের স্পিনাররা। তবে তাদের ফিল্ডাররা দুটি ক্যাচ হাতছাড়া করায় চাপ কাটিয়ে উঠে ইউনাইটেড। বাঁহাতি স্পিনার অঙ্কিত আগারওয়াল ভালো বল করলেও তার বলে দুটি ক্যাচ হাতছাড়া হয়। যা ম্যাচে বিরাট পার্থক্য গড়ে দেয়। ব্যাটের পর বল হাতেও ভালো পারফর্ম করেন সমীর সিনহা (২-২৮)।
Comments are closed.