
জুলাই মাসে শেষ হচ্ছে এনআরসি, সবাইকে সুরক্ষা দেবে বিজেপি, আশ্বাস রাম মাধবের
আগামী জুলাই মাসে এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে এবং যারা এর থেকে বাদ পড়বেন তাদের সুরক্ষা বিজেপি সরকার অবশ্যই দেবে, এমনটাই জানালেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব। মঙ্গলবার জেলা বিজেপির কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অংশ নিতে গিয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার শিলচর তথা করিমগঞ্জ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তার আগে বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতারা বরাক উপত্যকায় প্রচারের কাজ করছেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে দলের প্রচারের ব্যাপারে কথা বলতে অংশ নিয়েছিলেন রাম মাধব। তার সঙ্গে ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রভারি মহেন্দ্র সিং, শিলচরের প্রার্থী রাজদীপ রায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, শিলচরের বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল এবং জেলা বিজেপির সভাপতি কৌশিক রায়।
রাম মাধব এদিন জানান, এনআরসির কাজ আগামী জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবে এবং চূড়ান্ত তালিকাও একই সঙ্গে প্রকাশ পাবে। বর্তমানে প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষ চূড়ান্ত খসড়া থেকে বাদ রয়েছেন, তাদের যেকোনো ভাবে চূড়ান্ত তালিকায় সংযুক্ত করার ব্যবস্থা করা হবে। প্রয়োজনে নাগরিকত্ব বিল পাস করে তাদের সুরক্ষা দেওয়া হবে।
তারা এদিন কংগ্রেস সভাপতি রাজীব গান্ধী ও সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর শিলচর রোড-শোয়ে জনসমাগম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাম মাধব বলেন, শিলচরে চৈত্র সেলের বাজারের জনসমাগমকে দলের সমর্থক হিসেবে প্রচার করছে কংগ্রেস, কারণ এছাড়া তাদের কাছে কোনো উপায় ছিল না। যদি প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর এতটাই পরিচিতি থাকতো তাহলে নরেন্দ্র মোদির মতো গ্রামে সভা করে জনসমাগম দেখিয়ে দিতে পারতেন। তার দলের কর্মকর্তারা এটা পারেননি। তারা বারবার বিজেপির দিকে আঙ্গুল তুললেও নিজের রিপোর্ট কার্ড দেখাতে অসমর্থ। সুস্মিতা দেব সাংসদ হওয়ার পর তাকে দলের তরফে জাতীয় স্তরের দায়িত্ব দিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ওই সব দেখিয়ে শিলচরকে উপেক্ষা করে গেলেন। আমরা কংগ্রেস দলের সদস্যদের চ্যালেঞ্জ জানাতে চাই, আপনারা আপনাদের রিপোর্ট কার্ড নিয়ে আসুন আমরা আমাদেরটা নিয়ে আসব।নরেন্দ্র মোদি গত পাঁচ বছরে কী করেছেন তার হিসাব আমাদের আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিতে হয়না। সাধারণ মানুষের কাছে তা আছে এবং তার উপরই নির্ভর করে আমরা ভোট চাইছি। কোনও পরিবার তন্ত্র বা অন্যান্য বিষয় নিয়ে নয়।
পুলওয়ামা ঘটনার পর বালাকোটে সেনা জওয়ানরা যে শৌর্য প্রদর্শন করেছে তার প্রশংসা করেছি আমরা। কংগ্রেস দল এসব সহ্য করতে পারেনি এবং জওয়ানদের নিয়ে রাজনীতি শুরু করে দিয়েছে, এটা তাদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ।
Comments are closed.