Also read in

হ্যাক হলো রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের অ্যাপ, "আরও সুরক্ষিত করা হবে সিস্টেম, প্রয়োজনে জানাবো পুলিশকে," বললেন কর্তৃপক্ষ

লকডাউন থেকে শুরু করে এখনও অনলাইন পড়াশোনাই ছাত্রদের সবথেকে বড় সম্বল। প্রথমসারির বেসরকারি কলেজ এবং বিদ্যালয়গুলো নিজস্ব অ্যাপ বানিয়েছে। এতে শিক্ষক এবং ছাত্র ছাত্রীরা সরাসরি যোগাযোগ রেখে স্টাডি মেটেরিয়ালগুলো আদান-প্রদান করছেন। তবে রবিবার রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা হঠাৎ করেই দেখতে পান অ্যাপের মাধ্যমে অদ্ভুত কিছু মেসেজ আসছে। একটা মেসেজ দিয়ে বলা হয়েছে, “আমরা বাংলাদেশের খান সাইবার আর্মি, তোমাদের অ্যাপ হ্যাক হয়েছে, বোকা ভারতীয়দের দল, লোল!” যদিও এখনও এর বেশি কোন গোলমাল হয়নি, তবে সাইবার এক্সপার্টরা বলছেন এধরনের হ্যাকাররা অ্যাপের মাধ্যমে মোবাইলে ঢুকে সব তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে। এমনকি মোবাইলের ভিতরে থাকা ব্যাঙ্কের অ্যাপের তথ্য এবং গ্যালারিতে ঢুকে সব ধরনের ফটো ও ভিডিও খুব সহজে সংগ্রহ করে নিতে সমর্থ হ্যাকাররা।

ছাত্রদের মধ্যে কেউ কেউ নিজের মোবাইল ব্যবহার করে পড়াশোনা করছে, আবার কেউ কেউ অনলাইনে পড়াশোনার জন্য তাদের মা-বাবার ডিভাইস ব্যবহার করছে। অনেক অভিভাবকরা মোবাইলে গুগল-পে বা অন্যান্য ব্যাঙ্কের অ্যাপ ব্যবহার করছেন। এধরনের হ্যাকাররা অ্যাপের মাধ্যমে ঢুকে যেহেতু মোবাইলের তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারে, তাই তারা অনেকের ব্যাঙ্কের তথ্য সংগ্রহ করে নিতে সমর্থ। সম্প্রতি এমন এক ব্যক্তি বারবার ব্যাঙ্কের ওটিপি রিকুয়েস্টের মেসেজ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “গত দুই তিন দিন ধরে বেশ কয়েকবার ম্যাসেজ পেয়েছি, কেউ আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ট্র্যানজেকশনের চেষ্টা করছে বলেই মনে হয়েছিল। তবে এটা কেন হচ্ছে বুঝতে পারছিলাম না কারণ আমার সবগুলো তথ্য অত্যন্ত সুরক্ষিত। আমার সন্তান রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজে পড়াশোনা করে এবং সে কলেজের অ্যাপটি আমার মোবাইলের মাধ্যমে ব্যবহার করে। এবার মনে হচ্ছে হ্যাকাররা বেশ কয়েকদিন ধরেই অ্যাপ’র ভিতরে ঢুকে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি কলেজে কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেবেন এবং পুলিশকে জানাবেন।”

রামানুজ গুপ্ত জুনিয়র কলেজের কর্ণধার রুদ্র নারায়ণ গুপ্ত বলেন, “আমরা শুনেছি এমন একটা ঘটনা হয়েছে, তবে যাচাই করে দেখতে হবে এটা আদৌ হ্যাকিংয়ের ঘটনা কিনা। যে ব্যক্তিটি আমাদের অ্যাপ বানিয়েছেন তার সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি বলছেন হয়তো ভুলবশত কেউ পাসওয়ার্ড পেয়ে মশকরা করেছে। তবুও আমরা বিষয়টি একেবারেই হালকাভাবে নিচ্ছি না, ইতিমধ্যে সাইবার এক্সপার্টদের সঙ্গে কথা হয়েছে, আসলে কি হয়েছিল সেটা আগে বুঝতে হবে। প্রয়োজনে আমরা পুলিশের কাছে পুরো বিষয়টি জানাবো, কেননা যদি এটা হ্যাকারদের কাজ হয়ে থাকে তাহলে যেকোনো ভাবেই এমন ঘটনা আটকাতে হবে।”

তবে একজন সাইবার এক্সপোর্ট বলছেন, এটা ছোটখাটো ঘটনা নয়, কলেজ কর্তৃপক্ষকে এখনই সাবধান হওয়া উচিত।

Comments are closed.

error: Content is protected !!