নামবিভ্রাটে,ভুল মানুষকে গ্রেফতার পুলিশের: এলাকাবাসির চাপে বাধ্য হয়ে মধ্যরাতেই মুক্তি
সোমবার সদর থানায় বৈঠকে শহরে শান্তি বজায় রাখার আশ্বাস দিয়েছিলেন জেলা শাসক ডাঃ এস লক্ষ্মণণ। তবে এদিন সন্ধ্যায় পঞ্চায়েত রোডের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই এবং হাইলাকান্দি রোডের অটো জ্বালানোর ঘটনায় পুলিশ তথা প্রশাসনের ভূমিকায় সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দেয়।
অটো জ্বালানোর ঘটনার সঙ্গে পঞ্চায়েত রোডের ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন পুলিশ কর্তৃপক্ষ। আর এই সূত্র ধরেই এদিন দাস কলোনীর তিন নিরপরাধ তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ যার মধ্যে একজনের বয়স ১৬ বছর। পরে পরিস্থিতির চাপে মধ্যে রাতেই এদের ছাড়তে বাধ্য হন পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশনের সঙ্গে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুর সদস্য অসীম দাসের টেলিফোনের আলাপে জানা যায় যে মন্টু দাস নামের বিভ্রাটেই এই ভুল গ্রেফতারের ঘটনাটি ঘটে। রাঙ্গিরখাড়িতে অটোতে আগুন লাগানোর ব্যাপারে জনৈক মন্টু দাসের নাম উঠে আসে পুলিশের সূত্রে। সেই মন্টু দাসের খোজ করতে গিয়ে দাস কলোনীর আরেক মিন্টু দাস, তাঁর দুই ভাই এবং পাসের বাড়ির আরেক তরুনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঘটনাটি এদিন রাত এগারটা নাগাদ ঘটে। এতে এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। প্রায় দেড়শো মানুষ জড়ো হয়ে তিন তরুণের মুক্তির দাবি জানাতে থাকেন যার মধ্যে ছিলেন স্থানীয় কমিশনার অসীম দাসও। তাঁরা বারবার পুলিশ সুপার রাকেশ রৌশন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকেশ রেড্ডি এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের অনুরোধ করলেও পুলিশ তাঁদের ছাড়তে রাজি হয়নি।
পরে পুর সদস্য অসীম দাস জানান যে রাতের মধ্যে এদের না ছাড়লে তিনি পদত্যাগ করবেন এবং প্রয়োজনে বিজেপি দল থেকেও পদত্যাগ করবেন। তিনি স্থানীয় বিধায়কদেরও এব্যাপারে জানান এবং এতে পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে দেখা যায়। তবে নানান টালবাহানার পর রাত সাড়ে তিনটায় তাঁদের মুক্তি দেয় কাছাড় পুলিশ।
উল্লেখ্য, কালীবাড়ি চর এলাকায় রবিবার গভীর রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের ফলে উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ সহ আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফকে মাঠে নামতে হয়। ঘটনায় প্রায় দশজন আহত হন। এর জেরে আরও কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা হয় শহরের বিভিন্ন এলাকায়। যার মধ্যে রাঙ্গিরখাড়ির অটো জ্বালানো এবং পঞ্চায়েত রোডের ঘটনাও রয়েছে। কালীবাড়ি চর ঘটনায় এর আগে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
Comments are closed.