Also read in

কুড়ি হাজার কিলো ইউরিয়া চোরাচালান করতে গিয়ে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশের হাতে ধরা পড়ল ফিরোজ খান

এক গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ আজ ভর্তুকিযুক্ত ইউরিয়া চোরাচালান ধরতে সক্ষম হয়। এক গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর আসে যে গৌহাটি থেকে একটি ট্রাক বেআইনি চোরাচালানের সামগ্রী নিয়ে মিজোরাম যাচ্ছে। গোপন সূত্রে পাওয়া এই খবরের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ সোনাই রোড এলাকায় ১২ জুন একটি লরি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়।

চৌকিতে কর্তব্যরত পুলিশ গাড়িটি থামানোর সংকেত দিলে গাড়ির চালক লরিটিকে দ্রুত চালিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে, কিন্তু পুলিশ গাড়িটির পিছু ধাওয়া করে কিছুক্ষণের মধ্যেই ওটিকে থামাতে সক্ষম হয়। পুলিশ গাড়ির চালককে গাড়িতে কি আছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করলে চালক জানায় যে গাড়িতে মুরগির খাবার অর্থাৎ মুরগির দানা আছে। সেই সঙ্গে চালক পুলিশকে চালানও দেখায় যাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ ছিল যে গাড়িতে মুরগির খাবার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কিন্তু পুলিশ কর্তৃপক্ষ সন্দেহের বশে তখনই পরীক্ষা করে ৪০০ বস্তা ইউরিয়া খুঁজে পায়। প্রতি বস্তাতে ৫০ কিলো ইউরিয়া সার ছিল বলে জানা যায়।
গাড়ির চালক বর্তমানে জেলে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে কৃষকদের সহায়তার জন্য এই ভর্তুকি প্রদান করা হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে যে ট্রাকে মাল ওঠানো হয়েছিল রঙ্গিয়াতে এবং এটি মিজোরাম যাচ্ছিল। ফিরোজ খান পুলিশকে জানায় যে সে এই লরিটি মিজোরাম নিয়ে যাওয়ার জন্য অতিরিক্ত টাকা পেয়েছিল। কিন্তু গাড়িতে বেআইনি কিছু ছিল বলে ওর জানা ছিল না।

এখানে উল্লেখ করা যায় যে ভর্তুকি যুক্ত ইউরিয়া সরকারি তদারকিতে থাকে এবং কৃষকদের প্রয়োজন অনুযায়ী এটি সরবরাহ করা হয়ে থাকে। তাই কুড়ি হাজার কিলো ভর্তুকিযুক্ত ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কি করে বেআইনিভাবে মিজোরাম চলে যাচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের অগোচরে, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে গেলেও এখনো যে সর্বস্তরে তা দূর করা সম্ভব হয়নি এই ঘটনাই তার প্রমাণ। আশা করা যাচ্ছে যে পুলিশি তদন্তে হয়ত আসল সত্যটা বেরিয়ে আসবে।
তবে এক্ষেত্রে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশকে সাধুবাদ জানাতেই হয়।

Comments are closed.

error: Content is protected !!