ধর্ষণের অভিযোগে রংপুর পুলিশ কতৃক হেডমাস্টার মুজিবুর রহমান বড়ভুইয়া গ্রেপ্তার
২০১৮ সালের ৬ মার্চ বুনিয়াদি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমান বড়ভূইয়ার বিরুদ্ধে রংপুর পুলিশ চৌকিতে একটি এফ আই আর দায়ের করেন। শিক্ষিকা অভিযোগ করেন যে ৩ মার্চ, ২০১৮ সালে রহমান সকাল সাড়ে ৬টায় তার বাসভবনে এসে দরজায় ঠকঠক করেন, শিক্ষিকা দরজা খুললে তার উপর জবরদস্তি করেন।শিক্ষিকা অভিযোগ করেন যে তিনি তার নিজের বাসায় নিপীড়িত হয়েছিলেন এবং তারপর যখন তিনি অন্য একটি ঘরে নিজেকে বন্ধ করে দেন তখন অভিযুক্ত শিক্ষক তাকে অপমান করেন এবং বলেন যে যখনই সুযোগ পাবেন তিনি তার ইজ্জত নষ্ট করে দেবেন।
এফ আই আর এ শিক্ষিকা উল্লেখ করেছেন যে রহমান প্রায়ই ক্লাস চলাকালীন এবং ক্লাসের পরে স্কুল ছাত্রীদের যৌন নির্যাতন করতেন।শিক্ষিকা নিজে গত তিন বছর ধরে এ ঘটনাগুলোর সাক্ষী বলে জানান। শিক্ষিকার আরো অভিযোগ, তিনি বিপরীত লিঙ্গের সহকর্মীদের প্রতিও “অশালীন অঙ্গভঙ্গি” করতেন।
এফ আই আর দায়ের করার পর থেকেই রহমান পলাতক ছিলেন এবং রংপুর পুলিশ অভিযুক্তকে খুঁজছিল। রংপুর পুলিশ আউট পোস্টের অফিসার ইনচার্জ বলেন, “ রীতিমত ফাঁদ পেতে আমরা তাকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হই।” হেডমাস্টার এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। অফিসার আরো বলেন, “এফ আই আর পাওয়ার পর আমরা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছিলাম এবং প্রাথমিক তদন্তের পর ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল।”
প্রধান শিক্ষক পলাতক ছিলেন এবং যে শিক্ষিকা এফআইআর দায়ের করেছিলেন তার বিরুদ্ধে ছাত্রদেরকে তিনি উস্কাতে থাকেন। অবশেষে তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েন …
বরাক বুলেটিন ডট কম ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষিকার নাম গোপন রাখে। আমরা আমাদের পাঠকদের কাছে অনুরোধ রাখছি শিক্ষিকার ব্যক্তিগত জীবনের প্রতি সন্মান জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার সময় তার নাম প্রকাশ না করতে।
Comments are closed.