Also read in

হাইলাকান্দিতে দুটি পোলিং স্টেশনে পুনর্নির্বাচন আগামীকাল, ইতিমধ্যেই বোর্ড গড়ার দাবি ইউডিএফের

হাইলাকান্দি জেলাপরিষদে কংগ্রেস দলের একাধিপত্যের অবসান ঘটিয়ে এবার একক শক্তিতে বোর্ড গঠন করবে এ আই ইউ ডি এফ। সোমবার  রাতে কাটলিছড়ার  এ আই ইউ ডি এফ  বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর  এ দাবি করে বলেন, পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের ক্লিনসুইপ হয়েছে।জেলাপরিষদে তার দল কম করেও ছ’টি  আর উর্ধে আটটি আসন দখল করছে ।বিজেপি দুই ও এজিপি একটি আসন পেতে পারে বলে জানান তিনি।

রংপুর রামচণ্ডী জেলাপরিষদ আসনে তার স্ত্রী ফরহানা বেগম লস্করের জয় নিশ্চিত বলে তিনি দাবি করেন।  ।এছাড়া ঘাড়মুড়া জেলাপরিষদ আসনে দলীয় প্রার্থী সালেহ আহমদ মজুমদার বিজয়ী হচ্ছেন। তার বিধানসভা এলাকার অপর দুই জেলা পরিষদ বরুনছড়া বিলাইপুর ও কাটলিছড়া আসনেও  দলীয় প্রার্থীরা জয়ের দোড়গোড়ায় বলে দাবি  করেন তিনি।এছাড়া প্রচুর এপি জিপিতে দলীয় প্রার্থীরা জয়ী হবেন বলে জানান তিনি। হাইলাকান্দি  জেলাতে  ১১ টি  জেলাপরিষদ এবং ৬২ টি  জিপি  সভাপতি ও  ৬২ টি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সহ  ৬২০  টি গ্রুপ  সদস্য পদে রবিবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যদিও  ব্যালট পেপারে বিসংগতির জন্য  এগারো ডিসেম্বর হাইলাকান্দির ২৫/৮ ঘাড়মুড়া জামিরা জেলা পরিষদের অধীন  ঘাড়মুড়া বাঘছড়া জিপির  তিন নম্বর পোলিং স্টেশনের দত্তপুর  এল পি স্কুল ভোট গ্রহণ কেন্দ্রের তিন ও তিন ‘ক’  র  দু’টি কক্ষে  মঙ্গলবার পুনর্ভোট গ্রহণ করা হবে।

রবিবার অনুষ্ঠিত পঞ্চায়েত ভোটে ওই  ভোটদান কেন্দ্রে ব্যালট পেপারের গণ্ডগোলের জন্য ভোটগ্রহণ বন্ধ হয়ে যায় । পরে প্রশাসন ভোটদানের ব্যবস্থা করলেও দেরি হয়ে যাওয়ার জন্য এলাকার মানুষ  ভোটদান বন্ধ রেখে পুনর্ভোটের দাবি জানিয়েছিলেন।। এদিকে সোমবার রাতে নির্বাচন  কমিশনের পক্ষ থেকে ওই কেন্দ্রে পুনর্ভোটের নির্দেশ আসতেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে  দৌঁড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে।

এদিকে হাইলাকান্দি জেলায় নির্বিঘ্নে পঞ্চায়েত ভোট সম্পন্ন হওয়ায় জেলার সর্বস্তরের জনগনকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা উপায়ুক্ত আদিল খান । তিনি বলেন, হাইলাকান্দি জেলায় অবাধ, স্বচ্ছ  ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।।  জেলায় ভোট দানের হার ছিল ৭৫” ৫৬  শতাংশ ।। জেলায় ভোটে দু’একটি ছোট খাটো বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটলেও  সামগ্রিক ভোটপর্ব শান্তিপূর্ণ ছিল।  ভোট গণনা করা হবে বুধবার। উল্লেখ্য, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইলাকান্দি জেলায় বিজেপি কংগ্রেস এবং এ আই ইউ ডি এফ জেলাপরিষদের ১১টি র সবকটি আসনে প্রার্থী দেয়। অন্যদিকে অসম গণ পরিষদ দল পাঁচটি আসনে প্রার্থী দেয়।

ভোট পরবর্তী   অনুমানভিত্তিক সমীক্ষায় যে চিত্র ফুটে উঠেছে তাতে  দেখা যাচ্ছে, গত পনেরো বছর  থেকে  হাইলাকান্দি জেলাপরিষদ নিজেদের দখলে রাখা কংগ্রেস দল মূল লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে যাচ্ছে।।  । অন্যদিকে জেলাপরিষদ দখলের এই লড়াইয়ে এ আই ইউ ডি  এফকে এগিয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে । সেইসঙ্গে হাইলাকান্দির জেলাপরিষদে বিজেপি প্রথমবারের মত খাতা খোলা সহ বোর্ড গঠনে বড় ভূমিকা নেওয়ার  সম্ভাবনা  দেখা দিয়েছে।ভোটপরবর্তী অনুমান ভিত্তিক সমীক্ষায় আরও দেখা যাচ্ছে ,হাইলাকান্দি জেলায় বদর উদ্দিন আজমলের দলের ভাল ফলাফলের উজ্জ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাইলাকান্দি জেলাপরিষদ কংগ্রেস মূক্ত হয়ে যাওয়ার সভাবনা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে জেলাপরিশদ কার দখলে যাবে তা পরিস্কার না হলেও এ আই ইউ ডি এফ বোর্ড গঠনের দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছে। বদর উদ্দিনের দল কমকরেও পাঁচটি আসন লাভ করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে । অন্যদিকে বিজেপি তিন থেকে চারটি আসন পেতে পারে বলে রাজনীতি সচেতন মহলের অনুমান। পাশাপাশি অগপ এবং কংগ্রেসের একটি করে আসন লাভের সম্ভাবনা থাকলেও শেষপর্যন্ত কংগ্রেসের আসন সংখ্যা শূন্য হয়ে অগপর আসন সংখ্যা বেড়ে দুই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে ।

Comments are closed.