
ডঃ রাসেশ্বর পালকেও তার বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়া উচিত
শিলচর রেডক্রস হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডঃ অখিল পাল ডক্টর রাসেশ্বর পালের সমর্থনে এগিয়ে এলেন, বললেন ডাক্তাররাও আত্মপক্ষ সমর্থনের আইনগত সুবিধা পাওয়ার অধিকারী।
উল্লেখ্য যে ডক্টর রাসেশ্বর চন্দ্র পাল ওরফে রাসু পালকে ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটি হাসপাতাল, শিলচর থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ধর্ষণে অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে তাকে বরখাস্ত করা হয়।
এই নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল এবং তদন্ত কমিটির মতে ডক্টর পাল অপরাধীকে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য লিখে দিয়েছিলেন এবং ঘটনাটি উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়নি। বরখাস্তের ব্যাপারে সিদ্ধান্তের কথা গতকালই প্রকাশিত হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি গড়খোলা এলাকার রাজনগরের বাসিন্দা এবং অপরাধ সংঘটিত করে একমাস ধরে পলাতক ছিল। গত ২৫ অক্টোবর বড়খলা পুলিশ এসে তদন্তক্রমে জানতে পারে যে অপরাধীকে হাসপাতলে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।
পরদিন অর্থাৎ ২৬ অক্টোবরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিতে ছিলেন দীপায়ন চক্রবর্তী, রথীন্দ্র নাথ সাহা, রেডক্রসের জেলা সভাপতি ডঃ অখিল চন্দ্র পাল, সুজন দত্ত, শংকর দে, অভিজিৎ পাল এবং ডঃ স্বপ্না সেন।
পরবর্তীতে ৪ এবং ৫ নভেম্বর হাসপাতালের কর্মী এবং নার্সদের বক্তব্য গ্রহণ করা হয়। ওই শুনানিতে ডক্টর পালকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । শুনানির পর পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পেশ করার জন্য তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং এই রিপোর্ট ভারতীয় রেডক্রস সোসাইটির প্রেসিডেন্ট কাছাড়ের জেলা উপায়ুক্ত এস লক্ষ্মনণের মাধ্যমে রাজ্য স্তরের রেডক্রস সোসাইটি কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।
গতকালের সভায় জেলা উপায়ুক্ত ক্ষোভের সঙ্গে বলেন যে, ডক্টর রাসেশ্বর পালের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের জন্য মেডিক্যাল কাউন্সিলকে বলা হবে।
বরাক বুলেটিনের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে ডক্টর অখিল পাল বলেন, “এটা খুবই দুঃখজনক পরিস্থিতি এবং আমি মনে করি গুরুতর অভিযোগ সত্বেও তাকে আইনগতভাবে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া উচিত । আমরা বিষয়টা আমাদের রাজ্য হাসপাতাল বোর্ডে পাঠিয়েছি এবং মনে করি তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।”
Comments are closed.