মিনি সেক্রেটারিয়াটের জন্য বরাদ্দ ১১৬ কোটি, পুজোর পরেই শুরু হচ্ছে কাজ, সম্পন্ন হবে তিন বছরে
আজ সকালে শিলচর এসে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা । দুদিনের সফরের শুরুতেই মুখ্যমন্ত্রী সুসংবাদ শোনালেন বরাক বাসীদের। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের দপ্তরে ঘরোয়া আলোচনা শেষে মুখ্যমন্ত্রী যান বহু প্রতীক্ষিত মিনি সেক্রেটারিয়াটের নির্মাণস্থল শ্রীকোনায়।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, দুর্গা পুজোর পরেই শুরু হচ্ছে মিনি সেক্রেটারিয়াটের কাজ। ইতিমধ্যে ১১৬ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই মিনি সেক্রেটারিয়াটের ভবন নির্মাণের জন্য, টেন্ডার ২৪ তারিখ। মুখ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে এই নির্মাণকার্য সম্পন্ন হবে। মুখ্যমন্ত্রীর এই কার্যকালের মধ্যে মিনি সেক্রেটারিয়েটের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে কিনা এবং তিনি উদ্বোধন করতে আসবেন কিনা এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী সম্মতি প্রকাশ করেন।
তিনি আরো বলেন, বেশির ভাগ ছোট ছোট কাজের জন্য গুয়াহাটিতে সেক্রেটারিয়েটে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। বিশেষ করে যেসব কাজে শুধু প্রশাসনিক অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, সেই কাজগুলো মিনি সেক্রেটারিয়াটেই হয়ে যাবে । “আমরা কিছু সুনির্দিষ্ট কাজ যেমন পেনশন, ছুটি প্রভৃতি মিনি সেক্রেটারিয়াটে যাতে হয়ে যায় তা নিশ্চিত করব”, বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেটেলমেন্ট অফিসে দালাল রাজ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”বরাক উপত্যকা থেকে দালাল হটানো বেশ কঠিন কাজ। তবে লেগে থাকতে হবে , বরাক উপত্যকার জনগণ সাহায্য করলে সফল হওয়া যাবে। আপনারা সাংবাদিক বন্ধুরা সেটেলমেন্ট অফিসের দালালের তালিকা আমাকে আজ বিকেলে আমাকে দেবেন।” দালাল হটানোর বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সদিচ্ছায় সন্তোষ প্রকাশ করেন উপস্থিত সাংবাদিকরা।
নিজের সফর সূচি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “রিংরোড, যাকে বাইপাস বলা হয়, সেটা পরিদর্শনে যাব আমি আজ । এই কাজটা খুব তাড়াতাড়ি সম্পন্ন হয়ে যাবে ; আজ মেডিকেল কলেজে ও যাব। আগামীকাল ভুবন পাহাড়ে যাওয়ার ইচ্ছে আছে, তবে বৃষ্টি হলে কি হবে আমি জানিনা। খাসপুর রাজবাড়ীতে যাওয়ার ইচ্ছে রয়েছে আমার। ”
বরাক উপত্যকার জন্য আরো সুসংবাদ রয়েছে কি-না , সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি আছি , নিশ্চয়ই আরও কিছু সুসংবাদ পাবেন।”
মুখ্যমন্ত্রী তারপর শিলচর রেডক্রসে মাল্টি-ইউটিলিটি ভবনের শিলান্যাস করেন । এই মাল্টি ইউটিলিটি ভবন নির্মাণের জন্য ব্যয় হবে ৫ কোটি টাকা । এই ভবনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী ৫০ লক্ষ , শিলচরের সংসদ ১৫ লক্ষ এবং বিধায়ক সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছেন ।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে লায়লাপুর কাণ্ডে জরুরী সফরে বরাক উপত্যকায় প্রথম এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবারের সফরে উপত্যকাবাসীদের কি কি প্রাপ্তি ঘটে, তা নিয়ে জনমনে বেশ উৎসাহ রয়েছে।
Comments are closed.