পরপর দুটি সড়ক দুর্ঘটনা, ইট-বোঝাই লরির ধাক্কায় নিহত ধলাইয়ের এক ব্যক্তি
আবার দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় প্রাণ হারালেন কাছাড় জেলার এক ব্যক্তি। তার স্ত্রী গুরুতরভাবে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন। ধলাই রাজঘাটের প্রথম খণ্ডের বাসিন্দা নাগিব হোসেন লস্কর নামের এক ব্যক্তি তার স্ত্রী সালেহা বেগম লস্করকে নিয়ে বাইকে করে ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। অপর দিক থেকে আসা ইটবোঝাই দ্রুতগামী লরির ধাক্কায় প্রথমে দুজনেই গুরুতরভাবে আহত হন এবং তাদের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বাইকের চালক নাগিব হোসেন লস্করের মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে। এদিন সন্ধেবেলা সোনাই সমষ্টির অধীনে সোনাবাড়িঘাট সংলগ্ন শিলডুবি এলাকায় আরেক দুর্ঘটনায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন এবং তারাও শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ধলাই ভাগাবাজার এলাকায় বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে নাগাদ দুর্ঘটনার শিকার হন নাগিব হোসেন লস্কর। বাইকে চড়ে যাওয়ার সময় উল্টোদিক থেকে দ্রুতগতিতে আসা ইটবোঝাই লরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয় তার। এতে গুরুতরভাবে আহত হন চালক এবং আরোহী। এলাকাবাসীরা তাদের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান, এরপর তাদের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ডাক্তাররা জানান নাগিব হোসেন লস্কর মারা গেছেন এবং তার স্ত্রী বেবি বেগমও আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাগিব হোসেন লস্কর এবং তার স্ত্রী ডাক্তার দেখাতে বাইকে করে ধলাইয়ের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় ভাগাবাজার সংলগ্ন হোলি লাইফ স্কুলের সামনে দুর্ঘটনার শিকার হন তারা। মৃত্যুকালে নাগিব হোসেন লস্করের বয়স্ক হয়েছিল ৪০ বছর। তার দুই পুত্র এবং একটি কন্যা রয়েছে। এত অল্প বয়সে এভাবে দুর্ঘটনায় অভিভাবক নিহত হওয়ায় গোটা পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এদিকে সোনাই সমষ্টির অধীনে সোনাবাড়িঘাট সংলগ্ন শিলডুবি এলাকায় আরেকটি দুর্ঘটনা ঘটে। স্কুটি এবং বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন শিবু দে এবং মুসলিম উদ্দিন লস্কর। শিবু দে শিলডুবি এলাকার বাসিন্দা, তিনি স্কুটিতে করে কোনও একটা কাজে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ করে অপর দিক থেকে আসা বাইকের সঙ্গে তার স্কুটির সংঘর্ষ হয়। দুজন চালকই একা ছিলেন এবং তারা রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। অপর আহত ব্যক্তি মুসলিম উদ্দিন লস্কর ধনেহরি দ্বিতীয় খন্ডের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার পর ১০৮ এম্বুলেন্সের সহায়তায় আহতদের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
Comments are closed.