Also read in

চলে গেলেন শিলচর তারাপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা বাণী দে

শিলচর তারাপুর গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা বাণী দে আজ সকাল ৮ টা ৫৫ মিনিটে কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

২০১৫ সাল থেকে তিনি এ্যাফাসিয়া রোগে ভুগছিলেন। যা কিনা ডিমেনশিয়া রোগের একটি প্রকার। মূলত এই রোগের ফলে তাঁর স্মৃতিভ্রংশ হয়েছিল। মস্তিষ্কের ব্যাধির ফলে বাকশক্তিও ধীরে ধীরে লোপ পায়। তিনি কোন কিছু আর মনে রাখতে পারতেন না। শেষের দিকে তাঁর মেয়ে, স্বামী, আত্মীয় পরিজনদের চিনতে পারতেন না। তিনি রক্তে শর্করা জনিত এবং থাইরয়েড রোগেও ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য,২০০৬ সালে তিনি শিলচর তারাপুর গার্লস হাই স্কুল থেকে অবসর গ্রহণ করেন। পরে শিলচর ছেড়ে ২০১১ সালে কলকাতায় চলে যান। শেষ সময় তিনি কলকাতায় তাঁর ছোট মেয়ে রূপাঞ্জনার বাড়িতেই ছিলেন।

কর্মজীবনে তিনি একজন জনপ্রিয় শিক্ষিকা ছিলেন। ছাত্রীদের পড়াশোনার ক্ষেত্রে সাহায্য করতে সব সময় এগিয়ে থাকতেন।শারীরিক সমস্যা উপেক্ষা করে তিনি স্কুলের পরেও ছাত্রীদের অতিরিক্ত ক্লাস নিতেন।স্কুলটিকে সরকারি স্কুলে পরিণত করার জন্য তাঁর অবদান ছিল। অনেক সামাজিক কাজেও তাঁর অবদান ছিল। তিনি খুব ভালো হাতের কাজ জানতেন।

মৃত্যুকালে তিনি স্বামী রথীন্দ্র দে, দুই মেয়ে নীলাঞ্জনা পাল ও রূপাঞ্জনা দে, দুই জামাতা এবং দুই নাতনি রেখে গেছেন। সারা দেশজুড়ে লকডাউন থাকার কারণে তাঁর বড় মেয়ে নীলাঞ্জনা হায়দ্রাবাদ থেকে মাকে শেষবারের মতো দেখতে যেতে পারেনি।

Comments are closed.