
তিনটি সেতুর অ্যাপ্রোচ নিয়ে আলোচনা, সমাধান হতে পারে শিগগিরই
কাছাড়ের পূর্ত বিভাগের অধীনে সেতুর এপ্রোচ নির্মাণের জমি অধিগ্রহণ সম্পর্কে আলোচনা করতে আজ কাছাড়ের উপায়ুক্ত বর্ণালী শর্মার পৌরহিত্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয় l
এই সভায় সাংসদ রাজদীপ রায়, রাজ্য বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আমিনুল হক লস্কর, বিধায়ক মিহির কান্তি সোম, জেলা উন্নয়ন আয়ুক্ত জেসিকা রোজ লালসিম সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের আধিকারিক গন উপস্থিতি ছিলেন। কাছাড় জেলার তিনটি সেতুর উভয় দিকে এপ্রোচ নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের কাজ ধীরগতিতে না করে দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করার জন্য সাংসদ শ্রী রায় সভায় মত ব্যক্ত করেন l এই সেতু তিনটি হচ্ছে মধুরা- করাতিগ্রাম , সোনাই – ডুংরিপার এবং বরাক নদীর উপর বাদ্রিপার সেতুর এপ্রোচের জমি l
১৯৬৪ ইংরাজির জমি অধিগ্রহণ আইন অনুসারে ক্ষতিপূরণসহ অধিগ্রহণের কাজ ত্বরান্বিত করতে উপাধ্যক্ষ শ্রী লস্কর জানালে উপায়ুক্ত শ্রীমতি শর্মা জমি অধিগ্রহণের নতুন আইন সম্পর্কে সচেতন করেন l
সোনাই সেতুর এপ্রোচ সড়ক নির্মাণের ক্ষেত্রে সোনাই এলাকায় কোন সমস্যা নেই বলে উল্লেখ করে উপাধ্যক্ষ আমিনুল ডুংরিপারে জমির মালিকদের সমস্যা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন যে, সমস্যা নিরসনে এলাকাটি যুগ্মপরিদর্শনের প্রয়োজন রয়েছে এবং সেজন্য তারিখ নির্ধারণ করতে শ্রীমতি লালসিমকে অনুরোধ করেন l
বরাক নদীর উপর বাদ্রিঘাট সেতুর এপ্রোচের শ্রেণীবিন্যাস সম্পর্কে আলোচনা করে বিধায়ক শ্রী মিহির কান্তি সোম পূর্ত গ্রামীণ বিভাগকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন l
শ্রীমতি লালসিম সভায় জানান যে, জমি অধিগ্রহণ আইনকে কার্যকরী করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমোদন নিতে হবে l
সভায় সাংসদ শ্রী রায় আগামী দু’দিনের মধ্যে সমস্যা নিরসনের প্রস্তাব দেন l শ্রী রায় জমি অধিগ্রহণের সরকারি অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে এএলআরএ, ১৯৬৪ ‘র অধীনে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন এবং ৩১শে জানুয়ারি সকাল দশটা ত্রিশ মিনিটে জয়েন্ট ভেরিফিকেশন টিমদ্বারা সেতু গুলির এপ্রোচ সড়কের পরিদর্শন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় l
আশা করা যাচ্ছে, সরেজমিনে পরিদর্শনের পর সেতুর এপ্রোচ নিয়ে সমস্যার সমাধানসূত্র বেরিয়ে আসতে পারে।
Comments are closed.