Also read in

করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া ১৯৮৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেননি, দাবি আমিনুলের; হাইকোর্ট সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে, বললেন সাজু

নির্বাচনের আগেই সোনাই সমষ্টিতে বিজেপির প্রার্থী আমিনুল হক লস্কর তার প্রতিদ্বন্দ্বী এআইইউডিএফ দলের প্রার্থী করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া (সাজু)-র শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তখন নির্বাচন কমিশন কোনও প্রতিবাদে কান দেয়নি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়ে করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া ৭০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন। পরবর্তীতে আমিনুল হক লস্কর গৌহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং তার অভিযোগের উপর ভিত্তি করে আগামী ৪ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করা হয়। সেটা ছিল উচ্চশিক্ষার সার্টিফিকেট সংক্রান্ত আপত্তি। পরবর্তীতে করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়ার মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পাস করা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আরটিআই দাখিল করা হয়। মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধে না থাকলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কাউন্সিল জানিয়েছে ১৯৮৭ সালে করিমউদ্দিন বড়ভূঁইয়া পাশ করেননি। এতে আবার পুরনো আলোচনা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।

আমিনুল হক লস্করের দাবি, “২০১৬ সালে করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়া বলেছিলেন তিনি ১৯৮৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন এবং ১৯৯০ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা করেছেন। তবে তার ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার তথ্য একেবারেই মিথ্যে। এর প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়েছেন, এই বছর নির্বাচনে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার জায়গায় ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমার কথা না লিখে বলেছেন ২০১৯ সালে তিনি চৌধুরী চরন সিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন ডিসটেন্স পদ্ধতিতে তিনি পড়াশোনা করেছেন। তবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আরটিআই করার পর জানা গেছে তাদের কোনো ডিসটেন্স এডুকেশন পদ্ধতি নেই এবং ২০১৯ সালে পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদের তালিকায় কোথাও করিম উদ্দিন বড়ভূঁইয়ার নাম লেখা নেই। অর্থাৎ তিনি ভুল তথ্য দিয়েছেন এবং সেটা আদালতে প্রমাণ হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অসম বিধানসভা একটি পবিত্র স্থান, যাকে আমি কোন মন্দির বা মসজিদ থেকে বেশি শ্রদ্ধা করি। সেখানে ভারতরত্ন গোপীনাথ বরদলৈ থেকে শুরু করে মইনুল হক চৌধুরীর মতো উচ্চশিক্ষিত গুণীজনরা একসময় বসতেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে অনেক স্বল্প শিক্ষিত ব্যক্তিরা সেখানে গেছেন। কিন্তু একজন মিথ্যেবাদী সেখানে গিয়ে নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতার ব্যাপারে মিথ্যে কথা লিখিয়েছেন, এটা বিধানসভার অপমান এবং জনগণের অপমান। অতীতে মনিপুর থেকে শুরু করে মহারাষ্ট্র, দিল্লি তাদের রাজ্যে এভাবে ভুল তথ্য দিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার পর সেই রাজ্যের হাইকোর্ট তাদের প্রতিনিধিত্ব বাতিল করেছে। আমার বিশ্বাস এই ক্ষেত্রে গৌহাটি হাইকোর্ট একই সিদ্ধান্ত নেবে।”

করিম উদ্দিন বড় ভূঁইয়া এই অভিযোগের উত্তরে বলেছেন, “আমিনুল হক লস্কর প্রথম থেকেই মিথ্যে অভিযোগ করে আসছেন এবং তার মিথ্যাচার প্রমাণও হয়েছে। তিনি আগেও তার ভুয়া তথ্য নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন, কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। এবার মহামান্য আদালত আমাকে যে তারিখে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, সেই দিনে আমি সম্পূর্ণ তথ্য নিয়ে হাজির হব। আদালত এবং আইন ব্যবস্থার ওপর আমার বিশ্বাস রয়েছে। আদালতে প্রমাণ হবে আমিনুল হক লস্কর মিথ্যে কথা বলছেন। এর বেশি কিছু বলার ইচ্ছে আমার নেই।”

Comments are closed.