রুবেলা আতংক: অসুস্থের সংখ্যা বৃদ্ধি, খোঁজ নিতে মেডিক্যালে ডিসি আদিল খান
রুবেলা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর অসুস্থ ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। মংগলবার হাইলাকান্দির জেলা উপায়ুক্ত আদিল খান, আরক্ষী অধিক্ষক মহনীষ মিশ্র শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ ছাত্রী তসলিমা বেগমের স্বাস্থ্যের খোঁজ খবর নেন। এবং সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তাছাড়া রুবেলা ভ্যাকসিন নেওয়ার পর হাইলাকান্দি জেলা থেকে শিলচর মেডিক্যাল হাসপাতালে যাওয়া অসুস্থ পড়ুয়াদের চিকিৎসা জরুরী ভিত্তিতে করার জন্য ডিসি আদিল খান শিলচর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে আহবান জানান। এদিকে রুবেলা ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে কাটলিছড়ায় অসুস্থের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে
থাকায় কাটলিছড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে খোলা হয়েছে আলাদা বিভাগ । অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য অন্য হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে অতিরিক্ত চিকিৎসক। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ডিসি আদিল খান বার বার অভয়বাণী দিলেও ভিড় কমছে না হাসপাতালে। রুবেলা ভ্যাকসিন গোটা কাটলিছড়া সহ দক্ষিন হাইলাকান্দিতে এক আতংকের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে মংগলবার দক্ষিন হাইলাকান্দির বলদাবলদি, জামিরা, কাটলিছড়ার হরিশনগর, দীননাথপুর ইত্যাদি এলাকার প্রায় দেড় শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অসুস্থ হয়ে কাটলিছড়া হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য ভিড় জমান । এদিন বেলা বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে রুবেলা টিকা নেওয়া পড়ুয়াদের ভিড় বাড়তে থাকে।। সবার হাতে হাতে এম আর ভ্যাকসিন প্রদানের কার্ড। এহেন পরিস্থিতিতে হাসপাতাল ইনচার্জ ডাঃ সুব্রত দে তাৎক্ষণিকভাবে হাসপাতালের একটি কক্ষে রুবেলা ভ্যাকসিনে অসুস্থ পড়ুয়াদের জন্য আলাদা বিভাগ খুলেছেন। ডাঃ সুব্রত দে সহ অন্য দুই চিকিৎসক অসুস্থ পড়ুয়াদের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছ
অন্যদিকে রুবেলা ভ্যাকসিন নিয়ে অসুস্থ পড়ুয়াদের অভিভাবকদের নানা প্রশ্নের মোকাবিলা করতে গিয়ে চিকিৎসক, কর্মীদেরকে হিমশিম খেতে হচ্ছে । বিগত দু’দিন বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে হাসপাতালে। ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। চিকিৎসক দের পক্ষ থেকে রবিবার থানায় মামলা করা হয়েছে।। এদিকে মংগলবারও কাটলিছড়া হাসপাতালে অসুস্থ পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ভিড় লক্ষ্যনীয় ছিল । খবর পেয়ে হাইলাকান্দি থেকে ছুটে আসেন স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাইলাকান্দির দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ডাঃ ইজাজ আহমেদ সহ অন্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অসুস্থ পড়ুয়াদের সাথে পৃথক পৃথকভাবে বসে কাউন্সেলিং ও করেন। কাটলিছড়া হাসপাতালের ইনচার্জ ডাঃ সুব্রত দে, বলেন , মিসেলস রুবেলা নিয়ে কাটলিছড়া এলাকায় এক ফোবিয়া বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, গত আট সেপ্টেম্বর সাহাবাদ এম ই মাদ্রাসায় রুবেলা ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অসুস্থতার জন্য পঁচিশ পড়ুয়াকে প্রথম কাটলিছড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ক্রমান্নয়ে হাসপাতালে ভিড় বাড়তে থাকে। এদিকে গত আট সেপ্টেম্বর সাহাবাদ এম ই মাদ্রাসার অসুস্থ ছাত্রী এখন পর্যন্ত শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
Comments are closed.