Also read in

রূপমের ইন্দো-বাংলা নাট্যোৎসব

বিভিন্ন কলার মধ্যে নাটকটির একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। নাটকে সমাজের বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন কিংবা নাটকের মাধ্যমে সমাজের কঠিন বাস্তবকে তুলে ধরার পাশাপাশি কলাটি উপস্থাপনার সুকৌশলে দর্শক হৃদয়ে স্থান করে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারে। শিলচরের রূপম নাটক নিয়ে শুধু বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজনই করছে না, সঙ্গে উপত্যকায় নাট্যচর্চা অব্যাহত রাখার প্রয়াসে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এরই অঙ্গ হিসেবে এবারে শিলচরের নাট্যপ্রেমীদের জন্য উপহারস্বরূপ ছিল রূপম এর ব্যবস্থাপনায় তিনদিন ব্যাপী ইন্দো-বাংলা নাট্যোৎসব।

শিলচর জেলা গ্রন্থাগার ভবনে গত শুক্রবার শুরু হয়েছে রুপম আয়োজিত এই নাট্যোৎসব। উৎসবের প্রথম দিন মঞ্চস্থ হল নাটক “চার্লি”। মঞ্চস্থ করল বাংলাদেশের ঢাকার নাট্যদল “নাট্যধারা”। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, এই নাটকটি কয়েকমাস আগেই শিলচরে মঞ্চস্থ করার কথা ছিল। এই নাটকের নাট্য নির্দেশক এবং অভিনেতা লিটু সাখাওয়াত কয়েক মাস আগে রূপমের সর্বভারতীয় বাংলা একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতায় প্রদর্শনী নাটক হিসেবে নাটকটি উপস্থাপনার ঠিক পূর্ব মুহূর্তে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত সে বার নাটকটি প্রদর্শন করা সম্ভবপর হয়ে না উঠলেও এবারে নাটকটি বিস্তর প্রশংসা কুড়িয়ে দর্শকদের ভালো লাগায় মন ভরিয়ে দিয়েছে। দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ২২ ডিসেম্বর, শনিবারে কলকাতার সৌভিক সাংস্কৃতিক চক্রের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হয়েছে দুটি নাটক। প্রথম নাটকটি ছিল “শ্রীরামকৃষ্ণ” এবং পরে “আগুন” মঞ্চস্থ করল শৌভিক সাংস্কৃতিক চক্র। নাট্য নির্দেশনায় ছিলেন গৌতম ঘোষ।

রবিবার ২৩ ডিসেম্বর নাট্য উৎসবের শেষ সন্ধ্যার নিবেদন নাটক “আয়না বিবির পালা”। বাংলাদেশের ঢাকার “নাট্যধারা” শুক্রবার “চার্লি” নাটকের পর রবিবার সন্ধ্যা ছটায় দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন “আয়না বিবির পালা”। এক প্রতিবাদী নারীর গল্প নিয়ে লিখিত এই নাটকটি।

এখানে আরও উল্লেখ করা যেতে পারে, আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে রূপমের একাঙ্ক নাটক প্রতিযোগিতা। যা নাট্য প্রেমীদের জন্য অবশ্যই সুখবর।

Comments are closed.