তালিকাটা দেখে কোনো রাজনৈতিক লড়াই কথা মনে হতেই পারে। অন্তত এটা যে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার জেনারেল কাউন্সিল মেম্বারস তালিকা, সেটা বোঝা কিন্তু দায়। কারণ বুধবার শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা আসন্ন বি জি এমের জন্য যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে রাজনীতিবিদদেরই ছয়লাপ। কে নেই তালিকায়? শিলচরের সাংসদ, বিধায়ক থেকে শুরু করে তৃণমূলের সাংসদ, উধারবন্দ ও লক্ষ্মীপুরের বিধায়ক সবাই রয়েছেন। বাদ যাননি শাসকগোষ্ঠীর জেলা ও মন্ডল স্তরের কর্মকর্তারা ও। তালিকায় রয়েছেন বিরোধী নেতারাও। সব মিলিয়ে যেমনটা প্রত্যাশা করা হয়েছিল তার থেকেও যেন একধাপ বেশি !
প্রকাশিত ভোটার তালিকায় উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয় থেকে এসেছেন সাংসদ রাজদীপ রায় ও উধারবন্দের বিধায়ক মিহির কান্তি সোম। পি ডব্লিউ ডি থেকে এসেছেন লক্ষীপুরের বিধায়ক কৌশিক রায়। শ্যামাচরণ দেব বিদ্যাপীঠ থেকে এসেছেন শিলচরের বিধায়ক দ্বীপায়ন চক্রবর্তী। তারাপুর এসি থেকে এসেছেন তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব। অম্বিকাপুর এসি থেকে এসেছেন তমাল কান্তি বণিক। বিজয়ী সংঘ থেকে এসেছেন কনাদ পুরকায়স্থ। ইটখোলা স্পোটিং থেকে এসেছেন বিমলেন্দু রায় এবং উদয় শংকর গোস্বামী। এছাড়াও ভোটার তালিকা রয়েছেন শাসকগোষ্ঠীর এক ঝাক নেতা কর্মী।
বুধবার প্রকাশিত ভোটার তালিকার দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। ক্রীড়া মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল ও তাকিয়ে ছিল ডিএসএর প্রকাশিত ভোটার তালিকার দিকে। কারণ এই তালিকা দেখেই যে এবার তৈরি করতে হবে পরবর্তী গেম প্ল্যান। প্রকাশিত ১৮ পাতার বইয়ে রয়েছে মোট ২২৭ জন ভোটারের নাম। কে কোন ক্লাব থেকে এসেছেন, সেই তালিকাও রয়েছে। প্রকাশিত বইয়ে প্রথম পাতায় রয়েছে দশজন লাইফ মেম্বারের তালিকা। দ্বিতীয় পাতায় রয়েছে এক্স অফিসও তিন সদস্যের নাম। এরা হলেন বাবুল হোড়, বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং এবং অনিমেষ সেনগুপ্ত।
এরপর তৃতীয় পাতা থেকে শুরু হয়েছে ক্যাটাগরি ভিত্তিক ক্লাব গুলির নামের সঙ্গে তাদের সদস্যের তালিকা। প্রথমে রয়েছে কুড়িটি এ ক্যাটাগরির ক্লাব। যাদের রয়েছে ছয়টি করে ভোট। এই তালিকায় রয়েছে যথাক্রমে ইন্ডিয়া ক্লাব, টাউন ক্লাব, শিলচর স্পোর্টিং ক্লাব, ইউনাইটেড ক্লাব, তারাপুর এসি, কাছাড় পুলিশ এসি, অম্বি কাপুর ক্লাব, মালুগ্রাম ক্লাব, ইটখোলা এসি, বিজয়ী সংঘ, তরুণ সংঘ, মধ্য শহর এসএস, স্টুডেন্ট এসি, সন অফ ইন্ডিয়া, পূবালী, অরুণাচলএসএস, বেঙ্গল বয়েস ক্লাব, জাতীয় ব্যায়াম বিদ্যালয়, ইভিনিং ক্লাব এবং পিডব্লুডিএসি।
এরপর রয়েছে বি ক্যাটাগরির মোট ক্লাবের লিস্ট। এই ক্লাবগুলোই সদস্য সংখ্যা দুজন। অর্থাৎ এই ক্যাটাগরির প্রতিটি ক্লাবের রয়েছে দুটি করে ভোট। তারপর রয়েছে জি ক্যাটাগরির ক্লাবের সদস্যদের তালিকা। এতে রয়েছে ২৩ টি ক্লাব। এদের প্রত্যেকের রয়েছে একজন করে সদস্য অর্থাৎ একটি করে ভোট। সবশেষে রয়েছে ই ক্যাটাগরির মোট ২৭টি স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই ক্যাটাগরির প্রত্যেকের রয়েছে একটি করে ভোট।
এই ভোটার তালিকা থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেছে আসন্ন বি জি এমে কুরসির লড়াই আর মাঠে ময়দানে সীমাবদ্ধ থাকছে না।
Comments are closed.