সুপার ডিভিশনে ফের লো স্কোরিং ম্যাচ, ত্রিবেণী কে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় ইটখোলার
শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত নারায়ন পাল স্মৃতি প্রাইজমানি সুপার ডিভিশন লিগ কাম নকআউট ক্রিকেটে ফের লো স্কোরিং ম্যাচ। জেলার সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টের সবে তিন ম্যাচ হয়েছে। তবে এর দুটিই ছিল এক্কেবারে নিরামিষ। চূড়ান্ত একপেশে। সোমবার এসএম দেব স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দাঁড়াতেই পারল না ত্রিবেণী ক্লাব। তাদের ৬ উইকেটে সহজেই হারিয়ে দিল ইটখোলা এসি। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতল ইটখোলা। এর আগে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে যোগাযোগ সংঘ কে ৯ উইকেটে হারিয়ে ছিল তারা। সেটাও ছিল লো স্কোরিং ম্যাচ। তার আগে প্রিমিয়ার ক্লাব কাপের ফাইনাল ম্যাচটিও ছিল লো স্কোরিং।
গতকাল টাউন ক্লাবের কথা ছেড়ে দিলে এখন পর্যন্ত যে দল প্রথমে ব্যাটিং করেছে, তারাই মুখ থুবরে পড়েছে। আজ ঠিক এমনই দশা হয় ত্রিবেনীর। টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন ইটখোলার অধিনায়ক সমিক দাস। ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেয়ে ৩৬ ওভারে ৮৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ত্রিবেণী। আসলে ইনিংসের শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে কোন সময়ই সেরকম মোমেন্টাম আদায় করতে পারিনি। উল্টোদিকে, শুরু থেকেই ছন্দে ছিলেন ইটখোলার বোলাররা। বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে রেখেছিলেন।
উল্লেখযোগ্য রান পান মৃণাল কান্তি নাথ (২৭), অমিত যাদব (১৫), কৃষ্ণেন্দু দাস (১১) এবং রাজ ভৌমিক (১২)। তিন উইকেট শিকার করেন বাঁহাতি স্পিনার সুদর্শন সিনহা। গতবছরও সুপার ডিভিশন এর অন্যতম সেরা বোলার ছিলেন এই বাঁহাতি স্পিনার। এছাড়া অভয় কুমার যাদব নেন দু উইকেট।
এই রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় ৬৪ রানে চার উইকেট হারিয়ে বসেছিল ইটখোলা। তবে সুনজো ব্রহ্মর অপরাজিত ৩২ রানে ২০.৩ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ৯০ রান তুলে নেয় তারা। এছাড়া ওপেন করতে নেমে শুভজিত পাল করেন ৩৪। দুই উইকেট নেন পরীক্ষিত বণিক।
এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের প্রথম তিন ম্যাচে শুধু টাউন ক্লাব ই সকালের কন্ডিশন ভালোভাবে সামলাতে পেরেছে। প্রথম ঘণ্টায় এস এম দেব স্টেডিয়ামে বল ভাল মুভমেন্ট করছে। তাই প্রথম ঘন্টা ভালো ভাবে সামলে নিতে পারলেই কিন্তু উইকেটে রান রয়েছে। টুর্নামেন্ট যতই এগিয়ে যাবে, আশা করা যায় দলগুলি এটা উপলব্ধি করতে পারবে।
Comments are closed.