সংস্কৃত বোর্ডের সার্টিফিকেট দিয়ে এবার বিপাকে হাইলাকান্দির এপি সদস্যা
করিমগঞ্জের লামাজুয়ার জিপি সভাপতি মেহরাজুল হক পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংস্কৃত বোর্ডের জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়ে গ্রেফতার হয়ে জেলে যাওয়ার সপ্তাহ হতে না হতেই এবার একই অভিযোগে রীতিমতো বিপাকে পড়লেন হাইলাকান্দির এক এপি সদস্যা ।। সেই সদস্যা হলেন কাটলিছড়া ব্লকের হরিশনগর জিপির নবনির্বাচিত আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা হুসনারা বেগম লস্কর ।। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট নিয়ে প্রশ্ন উঠায় ইলেকশন ট্রাইব্যুনালের তদন্তের মুখে পড়লেন তিনি।।।
কাটলিছড়ার তেলকাত্তা এলাকার চন্দ্রমালা ত্রিপুরার অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টায় হরিশনগর জিপির এপি সদস্যা হুসনারা বেগম লস্করকে হাইলাকান্দির ডিস্ট্রিক্ট জাজের অফিসের ইলেকশন ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে।। তেলকাত্তার চন্দ্রমালা ত্রিপুরার অভিযোগ, সাম্প্রতিক পঞ্চায়েত নির্বাচনে হরিশনগর জিপির আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্যা পদে বিজয়ী হুসনারা বেগম লস্কর মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশের জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। ২০১৮ ইংরেজির ১৯ নভেম্বর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে চন্দ্রমালা ত্রিপুরা জানতে পারেন যে হুসনারা বেগম লস্কর জাল সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন। সাথে সাথেই কাটলিছড়া ব্লকের ভোটের মনোনয়ন পত্র গ্রহণের দায়িত্বে থাকা অথোরাইজড অফিসারের কাছে নালিশ জানান।।
অপরদিকে ওই একই অভিযোগ জানিয়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জ্যোৎস্না বেগম লস্কর, লুৎফর রহমান সহ আরও তিনজন কাটলিছড়া থানায় এজাহার জমা দেন।। কাটলিছড়া পুলিশ তাদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২৭২/২০১৮ নম্বরে ভারতীয় দন্ডবিধির ৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত শুরু করে। এদিকে মনোনয়ন পত্র পরীক্ষার দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জ্যোৎস্না বেগম লিখিতভাবে হুসনারা বেগম লস্করের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্রকে চ্যালেঞ্জ জানান।। কিন্ত অথোরাইজড অফিসার তাতে কোনো গুরুত্ব দেন নি।
চন্দ্রমালা ত্রিপুরার অভিযোগ, নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম হওয়ার ফলে ভোটে জয়ী হন হুসনারা বেগম লস্কর।। তাই এব্যাপারে সুবিচার চেয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।। ইলেকশন ট্রাইব্যুনাল আগামী আঠারো ফেব্রুয়ারি
অভিযোগকারীদেরকেও ট্র্যাইবুনালে হাজির হতে নির্দেশ জারি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।।
Comments are closed.