২০ নভেম্বর থেকে কোভিড প্রটোকল মেনে দ্বিতীয় ডিভিশন ক্রিকেট, সব ম্যাচই হবে ডি এস এ মাঠে
১৬ নভেম্বর: আগামী ২০ নভেম্বর থেকে কোভিড প্রটোকল মেনেই শুরু হবে দ্বিতীয় ডিভিশন ক্রিকেট। আজ এক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে একথা জানিয়ে দিল শিলচর ডি এস এ। এবার টুর্নামেন্টের স্পনসর হিসেবে এগিয়ে এসেছেন সংস্থার প্রাক্তন এজিএস ও গ্রাউন্ড সচিব চন্দন শর্মা। নিজের প্রয়াত মা পারুল রানি শর্মার স্মৃতিতে এই টুর্নামেন্ট স্পনসর করবেন তিনি। ফলে এবার দ্বিতীয় ডিভিশনে যে দল চ্যাম্পিয়ন হবে তারা পাবে পারুল রানি শর্মা স্মৃতি ট্রফি সহ প্রাইজমানি। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৮০০০ টাকা। সঙ্গে থাকবে ট্রফি। রানারআপ দল পাবে ট্রফি সহ ৫০০০ হাজার টাকা।
এবার টুর্ণামেন্টে মোট ২৪টি দল অংশ নিয়েছে। খেলা হবে লিগ কাম নকআউট পদ্ধতিতে। এই দলগুলিকে মোট আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি গ্রুপে রয়েছে তিনটি করে দল। প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী ম্যাচে সকাল সাড়ে আটটায় মধ্যসহর এসএস খেলবে উদয়ন সংঘের বিরুদ্ধে।দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বেলা ১২টায় ক্লাসমেটস ইউনিয়ন খেলবে অরুণাচল এস এস এর বিরুদ্ধে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এবার টুর্নামেন্ট এর সবকটা ম্যাচেই হবে ডিএসএ মাঠে। প্রতিদিন থাকবে দুটি করে ম্যাচ। দিনের প্রথম ম্যাচ শুরু হবে সকাল সাড়ে আটটায়। আর দ্বিতীয় ম্যাচ শুরু হবে বারোটা থেকে।
এবার টুর্নামেন্টের ম্যাচ গুলি হবে কুড়ি ওভারের। তবে খেলা হবে ওয়ানডে ফরম্যাটে। সাধারণত দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ গুলি ৩০ ওভারের হয়ে থাকে। তাহলে এবার কেন এমন সিদ্ধান্ত নিল সংস্থা? এর জবাবে ক্রিকেট সচিব নিরঞ্জন দাস বলেন, ‘আসলে করোনাকালে খুবই কম সময়ে আমরা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে চাইছি। তাই ওভার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে করে আমরা দিনে দুটি ম্যাচ আয়োজন করতে পারি।’ নিরঞ্জন আরও বলেন, ‘সংস্থার ক্রিকেট ব্রাঞ্চ শাখার বৈঠকেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আরো একটা বিষয় হচ্ছে দ্বিতীয় ডিভিশন সম্পন্ন হবার পর এখানে দুটি ফাঁকা জায়গা তৈরি হবে। যারা চ্যাম্পিয়ন হবে তারা এ ডিভিশনে চলে যাবে। আর অবনমন হওয়া দল তৃতীয় ডিভিশনে নেমে যাবে। তাই আমাদের চারটা টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেই হবে।’
এবার খেলা হবে লাল বলে। চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল ছাড়াও টুর্ণামেন্টে থাকবে বেশ কিছু আকর্ষণীয় পুরস্কার। প্রতিটি থাকবে প্রাইজমানি সহ ট্রফি। স্পনসর চন্দন শর্মা বলেন,’সংস্থার সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং যখন আমার কাছে টুর্নামেন্ট স্পনসর করার প্রস্তাব নিয়ে আসে আমি তখনই রাজি হয়ে যাই। আমি খেলাধুলার লোক। তাই না করতে পারিনি। যতদিন পারি নিজের সাধ্যমত আমি টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাব।’
এবার ক্রিকেট মরশুমের জন্য একটা এস ওপি তৈরি করেছে সংস্থা। যা ইতিমধ্যেই ক্লাবগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই এসওপি অনুসারে, ম্যাচের দিন প্লেয়ার, আম্পায়ার এবং অফিসিয়ালদের থার্মাল স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে প্রত্যেক খেলোয়াড়ের সেনিটাইজেশন বাধ্যতামূলক। এছাড়াও প্রত্যেক খেলোয়াড় কে নিজেদের কাছে সেনিটাইজার রাখতে হবে। ম্যাচ চলাকালীন খেলোয়াড়রা তাদের গিয়ার্স, জলের বোতল এবং টি-শার্ট অদল বদল করতে পারবেন না। মাঠে যেখানে সেখানে থুতু ফেলা যাবে না। সহ খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলিঙ্গন অথবা জড়িয়ে ধরে কোন ধরনের সেলিব্রেশন করা যাবে না। আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুসারেই এখানেও বলে থুতু অথবা ঘাম লাগানো যাবে না। ড্রেসিংরুমে শুধু প্লেয়ার এবং অফিসিয়াল রাই ঢুকতে পারবেন। তবে সংখ্যাটা কোন অবস্থাতেই ১৮ এর বেশি হবে না। এই নিয়মগুলি কেউ অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সভাপতি বাবুল হোড়, সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং, স্পনসর চন্দন শর্মা এবং কোষাধক্ষ্য অনিমেষ সেনগুপ্ত।
Comments are closed.